কালীঘাট মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
এবড়োখেবড়ো রাস্তার চতুর্দিকে মাটির স্তূপ। তারই মধ্যে এক দিকে বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে কালীঘাট মন্দির। শনিবার, পয়লা বৈশাখে সেই বাঁশ টপকেই ভিতরে ঢুকে পুজো দিলেন দর্শনার্থীদের অনেকে। একে তো প্রবল গরম। তার উপরে ভিড়। দেখা গেল, লাইনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা অনেকেরই।
গত প্রায় ছ’বছর ধরে চলছে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ। এর মধ্যেই বছরখানেক আগে সেখানে শুরু হয়েছে স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজ। সেই কাজের জন্য মন্দির সংলগ্ন সঙ্কীর্ণ রাস্তায় খোঁড়া হয়েছে বড় বড় গর্ত। পাশেই জমে আছে মাটির স্তূপ। একটু অসতর্ক হলেই হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এ দিন দর্শনার্থীদের অনেকেই সেখানে হোঁচট খেয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। রাস্তার এমনই অবস্থা যে, অধিকাংশ দোকানই সেখানে বসছে না। আশপাশে বসেছিল গুটিকয়েক মাত্র দোকান। এক সময়ে ভিড়ে পরিস্থিতি এমন হয় যে, বহু দর্শনার্থী বিগ্রহ দর্শন করতে পারেননি। অধিকাংশ দর্শনার্থীই পান্ডাদের মাধ্যমে পুজো দিয়েছেন। বহু ব্যবসায়ী মন্দিরের পাশে পান্ডাদের দোকানে বসেই হালখাতা পুজো সেরেছেন। দমদম থেকে সপরিবার আসা এক দর্শনার্থীর কথায়, ‘‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এক দিকে এমন গরম। অন্য দিকে, রাস্তায় হাঁটা যাচ্ছে না। শুকনো মাটির স্তূপ থেকে ধুলো উড়ছে। এমন পরিস্থিতি কোনও দিন দেখিনি।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কলকাতা পুরসভার মাধ্যমে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেবায়েতদের বক্তব্য, সেই কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। যার ফলে দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দর্শনার্থীরা। ‘কালী টেম্পল কমিটি’র কোষাধ্যক্ষ কল্যাণ হালদার বলেন, ‘‘মন্দিরের চারটি গেট দিয়ে দর্শনার্থীদের যতটা সম্ভব যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, এখানে পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। তারই মধ্যে পুলিশের সহায়তায় কোনও মতে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy