ভবানীপুরের ফ্ল্যাটে খুন করা হয় শাহ দম্পতিকে।
গুজরাতি দম্পতি খুনের ঘটনায় মূল চক্রী সম্ভবত তাঁদের মেজো জামাইয়ের এক আত্মীয়। অশোক শাহ কিছু অর্থ ঋণ হিসাবে দিয়েছিলেন তাঁদের মেজো জামাইয়ের ওই আত্মীয়কে। সেই ঋণের অর্থ পুরোটা মেটাননি বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ওই ঋণের টাকা মেটানো নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই টালবাহানা চলছিল। সম্প্রতি কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছিলেন। অনুমান, বাকি টাকা যাতে না মেটাতে হয় সেই কারণেই খুন হয়ে থাকতে পারেন শাহ দম্পতি। ঠিক কী কারণে খুন, তা জানা যাবে কলকাতা পুলিশের সিপি-র সাংবাদিক বৈঠক থেকে।
পাশাপাশি, ভবানীপুরের ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে কোনও জটিলতা হয়েছিল কি না এবং এই খুনের পিছনে ফ্ল্যাট বিক্রি সংক্রান্ত কোনও বিবাদ রয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় রাজ্যের বাইরের কয়েক জন জড়িত বলে তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে, ওড়িশার এক বাসিন্দাকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে ভবানীপুরের জোড়া খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হল।
বৃহস্পতিবার সকালেই ভবানীপুর খুনের ঘটনায় দু’জন পেশাদার খুনিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তদন্তে অনুমান, ওই পেশাদার খুনিদের খুনের বরাত দিয়ে থাকতে পারেন দম্পতির মেজো জামাইয়ের ওই আত্মীয়। ভবানীপুরের নিহত গুজরাতি দম্পতির তিন কন্যা। তাঁদের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে বুধবারই দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা তখনই জানিয়েছিলেন, তদন্তের ৯৯ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত দোষীরা ধরা পড়বে। বুধবার সন্ধ্যার সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। এর মধ্যেই ভবানীপুরের জোড়া খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy