আদালতের নির্দেশে বেদখল জমি ফাঁকা করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিল কসবা থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার হুমকিতে পিছু হটেছিল তারা।
ওই ঘটনার আট দিনের মাথায় ফের বেদখল জমি মুক্ত করতে গিয়ে ফিরে এল রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ ও পুরসভার লোকজন। অভিযোগ, এ বার বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়লেন বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা শরৎপল্লিতে কয়েক বছর ধরে একটি ফাঁকা জমি পড়ে ছিল। ওই এলাকায় প্রচুর বাড়ি উঠে যাওয়ায় খেলাধুলোর জায়গা ছিল না। তাই স্থানীয়দের দাবিতে ২০০৮-এ তৎকালীন কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদার ওই ফাঁকা জায়গা ঘিরে একটি পার্ক তৈরি করে দেন।
সম্প্রতি কাউন্সিলর গোপাল রায় ওই পার্কের সৌন্দর্যায়ন করতে গিয়ে জানতে পারেন, ওই জমির মালিক রয়েছেন। কিন্তু তত দিনে দরপত্র ডেকে ঠিকাদার সংস্থা ঠিক হয়ে গিয়েছিল কাজ শুরুর জন্য। আর তখনই আদালতের নির্দেশে পার্কের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা তাঁকে এবং পুরসভাকে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, আট বছরেরও বেশি সময় পুরসভার পার্ক হিসেবেই জমিটি রয়েছে। কিন্তু গত জুলাইয়ে পুলিশ ও পুরসভার লোকজন এসে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ, জমির মালিক আদালতে কাগজপত্র জমা করেছেন। ফলে জমি ফাঁকা করে মালিককে তা ফেরত দিয়ে দিতে হবে।
গত জুলাই মাসে পুলিশ ও পুরসভা তা জানালেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় পুলিশ খালি হাতে ফিরে আসে। ফের আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করতেই পুলিশ ও পুরসভার লোকজন শুক্রবার সকালে ওই পার্কে যান। তাঁদের সঙ্গে বুলডোজারও ছিল পার্কের পাঁচিল ও কিছু নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার জন্য।
অভিযোগ, পুলিশ ও পুরসভার লোকজন দেখেই স্থানীয় লোকজন তাঁদের প্রবল বাধা দেন। কয়েক জন বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়েন। পুলিশকর্মীরা জানান, তাঁরা শুধু আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়েছেন। এটা তাঁদের নিজেদের কোনও সিদ্ধান্ত নয়। কাউন্সিলর গোপাল রায় জানিয়েছেন, গত মাসে তিনি কাউন্সিলর হিসেবে ওই পার্কের সংস্কার করতে গিয়ে যখন বাধা পান, তত দিনে ১৪ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে সৌন্দর্যায়ন ও সংস্কারের জন্য।