Advertisement
E-Paper

মণ্ডপে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দিয়ে ধৃত ৯ জনের পরিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ, নবমীর দুপুরে বসছে বিশেষ বেঞ্চ

সপ্তমীতে ‘ত্রিধারা সম্মিলনী’ মণ্ডপে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্লোগান দেন জনা কয়েক দর্শনার্থী। সেখান থেকে ন’জনকে প্রথমে আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০০
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্লোগান তুলেছিলেন। তার পরই গ্রেফতার হয়েছেন ন’জন। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই ন’জনের পরিবার দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের। আদালত ওই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। শুক্রবার দুর্গাপুজোর নবমীর দিন দুপুরে বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। হাই কোর্টের একটি সূত্রে খবর, দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হবে শুনানি।

দুর্গাপুজোয় মেতেছে রাজ্যবাসী। রাস্তায় রাস্তায় ঠাকুর দেখার ভিড়। তবে উৎসবের মাঝেই চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আমরণ অনশন। বৃহস্পতিবার সপ্তমীতে ‘ত্রিধারা সম্মিলনী’ মণ্ডপে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে স্লোগান দেন জনা কয়েক দর্শনার্থী। সেখান থেকে ন’জনকে প্রথমে আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত ওই ন’জনের এক সপ্তাহের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, কলকাতার দমদমের বাসিন্দা উত্তরণ সাহা রায়, ট্যাংরার বাসিন্দা কুশল কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা জহর সরকার এবং সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা নাদিম হাজারি, হাসনাবাদের বাসিন্দা ঋতব্রত মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের বাসিন্দা চন্দ্রচূড় চৌধুরী এবং রহড়ার বাসিন্দা দৃপ্তমান ঘোষ।

ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই আবহে পুলিশের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অনশনকারীদের হাতে। পুজো মণ্ডপ থেকে ন’জনকে আটক করার ঘটনা নিয়ে আদালতে পুলিশ পাল্টা দাবি করে ধৃতদের হোয়াটস্‌অ্যাপ চ্যাট পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মণ্ডপে গিয়ে স্লোগান দিয়েছেন। ধৃতদের আইনজীবী দাবি করেন, স্লোগান দেওয়া তো অপরাধের নয়! তার জন্য গ্রেফতারি কেন? রাজ্যের তরফে দাবি করা হয় ওই ব্যক্তিরা জামিন পেলে অন্য পুজো মণ্ডপেও একই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারেন। সরকারি আইনজীবীর সওয়ালে জানান, এটা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নয়। এক জন সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন প্যান্ডেল কি প্রতিবাদের জায়গা? যদি ওখানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত তা হলে কী হত? সুপ্রিম কোর্ট কি বলেছে ওই রকম জায়গায় গিয়ে প্রতিবাদ করতে?

শেষ পর্যন্ত ন’জনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ধৃতদের পরিবার। শুক্রবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সেই অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

Calcutta High Court RG Kar Protest Junior Doctors Strike arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy