Advertisement
E-Paper

দূষণ রুখতে তড়িঘড়ি ঘাট পরিষ্কারের কাজ

রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, “অস্থায়ী ঘাটগুলি যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা হয়, সে জন্য কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৭
গল্ফ গার্ডেনের মাদারতলা ঝিল।ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

গল্ফ গার্ডেনের মাদারতলা ঝিল।ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।

আদালতের রায়ে এ বার রবীন্দ্র সরোবর-এর ছটপুজো নিষিদ্ধ হওয়ায় দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন জলাশয়ে ৫১টি অস্থায়ী ঘাট তৈরি করেছিল কেএমডিএ। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দূষণ রুখতে ছটপুজোর পরে দ্রুত সেই সব জলাশয় থেকে পুজোর সামগ্রী ও ফুল-পাতা তুলে ফেলা হবে। সেই মতো শনিবার দুপুরের মধ্যে বেশির ভাগ ঘাটেই জল থেকে তুলে ফেলা হয়েছে ফুল-পাতা ও পুজোর সামগ্রী।

তবে বাইপাসের ধারে আনন্দপুর এলাকায় জলাশয় পরিষ্কার করা হলেও তার পাশেই নোনাডাঙা এলাকায় কেএমডিএ নির্মিত একাধিক স্থায়ী ঘাটের সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে পুজোর সামগ্রী। সেখানকার জলে তখনও ভাসছে ফুল-পাতা। আজ, রবিবারের মধ্যে ওই ঘাটগুলি পরিষ্কার করে ফেলা হবে বলে দাবি করেছেন কেএমডিএ-র এক আধিকারিক।

আরও পড়ুন: ছটের জট কাটিয়ে কলুষমুক্ত দুই সরোবর

রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, “অস্থায়ী ঘাটগুলি যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা হয়, সে জন্য কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা যে ঘাটগুলি দেখভাল করে, সেগুলি পরিষ্কারের কাজ করবেন পুরকর্মীরা।’’ পুরসভার উদ্যান দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, “গঙ্গার ঘাট-সহ পুরসভার যে ঘাটগুলিতে পুজো হয়েছে, সেগুলি পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ছটপুজোর পরে অস্থায়ী ঘাটগুলি পরিষ্কার করতে অন্তত ৫০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। প্রয়োজনে কলকাতা পুরসভারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

এ দিন বেলা ১টা নাগাদ গল্ফ ক্লাব রোডের মাদারতলা এবং তার পাশেই গল্ফ গার্ডেন লেকে গিয়ে দেখা গেল, ঘাটে ছটপুজোর সময়ে ব্যবহৃত পুজোর সামগ্রীর প্রায় পুরোটাই ততক্ষণে জল থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। বাঁশের কাঠামো দিয়ে তৈরি সেই অস্থায়ী ঘাট খোলার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই অঞ্চলে ১০ নম্বর বরোর অন্তর্গত যোধপুর পার্ক ঝিলে তৈরি ৬টি অস্থায়ী ঘাটের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। সেই ঘাটগুলি থেকেও পুজোর সামগ্রী তুলে ফেলা হয়েছে এবং ঘাটের কাঠামো খোলার কাজ চলছে। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, প্রতিটি জলাশয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে ডুবুরি এবং জলের নীচে নামার সরঞ্জামও রাখা হয়েছিল।

Rabindra Sarobar cleansing procedure Calcutta HighCourt chhath puja KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy