প্রতীকী ছবি।
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সল্টলেকের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের বাড়ির পরিচারিকার খোঁজ মেলেনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিধাননগর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই প্রৌঢ় সেখানকারই একটি আবাসনের বাসিন্দা। তিনি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।
বিধাননগর পুরসভা ও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রৌঢ়ের পরিচারিকা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ অঞ্চলের বাসিন্দা। পুরসভা বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিল, ওই পরিচারিকাকে তাঁর বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে উধাও সেই মহিলা। চারদিকে তাঁর খোঁজ চলছে। পুলিশও তাঁকে খুঁজছে। দত্তাবাদ অঞ্চলে তিনি একটি বাড়িতে স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি।
ঘটনাকে ঘিরে চিন্তিত পুর কর্তৃপক্ষও। কারণ মহিলার শরীরেও করোনার উপসর্গ রয়েছ কি না কিংবা তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছেন, সে সব জানতে মহিলাকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা জরুরি বলেই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। এ দিন পুরসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা জীবাণুমক্ত করার কাজ জোরদার করা হবে। কারণ ওই ওয়ার্ড থেকেই দু’জনের মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। সেই দু’টি বাড়ির সদস্যদেরও কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। এবং এক জন করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ব্যক্তির দুই আত্মীয় ওই ওয়ার্ডেরই একটি আবাসনে ছিলেন। গতকাল রাতে তাঁদেরও কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, পর্যায়ক্রমে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গা জীবাণুমুক্ত করা হবে। লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। তা সত্ত্বেও মানুষের সচেতনতা ফিরছে না। কাউন্সিলরদের একাংশের কথায়, ‘‘বারবার করে বলার পরেও বাজার, রেশন দোকান কিংবা ওষুধ আনা ছাড়াও লোকজন অকারণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। বিধাননগরের পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, নজরদারি চলছে। অনুরোধ, সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে। এর পরেও লকডাউন না মানলে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy