Advertisement
E-Paper

কমল কন্টেনমেন্ট জ়োন, লকডাউনে কঠোর হবে পুলিশ

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিভিন্ন ডিভিশনের ডিসি-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে লালবাজারে বৈঠক করেন সিপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০৪:০২
বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ নস্কর লেন গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হলেও তার পাশ কাটিয়েই চলছে যাতায়াত। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ নস্কর লেন গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হলেও তার পাশ কাটিয়েই চলছে যাতায়াত। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য।

শহরে কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা কমল। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন ছিল ২৮টি। বুধবার তা কমে দাঁড়াল পঁচিশে। আর ওই সব কন্টেনমেন্ট জ়োনে যাতে লকডাউন কঠোর ভাবে মানা হয়, তার জন্যে বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন বিভিন্ন ডিভিশনের ডিসি-সহ শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে লালবাজারে বৈঠক করেন সিপি। পুলিশবাহিনীকে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে পুলিশ কমিশনার শহরের প্রতিটি কন্টেনমেন্ট জ়োনের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান ডিসিদের কাছে। ওই সব এলাকায় কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, কত জন আক্রান্ত হয়েছেন— সবেরই খোঁজ নেন তিনি।

লালবাজারের এক কর্তা জানান, কন্টেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে যাতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। কলকাতা পুলিশের ‘প্রণাম’-এর কোনও সদস্য ওই এলাকার বাসিন্দা হলে তাঁর খোঁজখবর নিতেও ডিসিদের বলা হয়েছে।

সূত্রের খবর, প্রতিদিনের আক্রান্তের হিসেবে কন্টেনমেন্ট জ়োনের বদল হলে নতুন কন্টেনমেন্ট জ়োনে যাতে দ্রুত লকডাউন করা যায়, তাই পুর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পুলিশকে কাজ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া থানাগুলিকে বলা হয়েছে নিজেদের এলাকায় আক্রান্তদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পুরসভাকে জানাতে।

লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের সব চেয়ে বেশি কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে তিন নম্বর বরোয়। কাঁকুড়গাছি, ফুলবাগান, উল্টোডাঙা এলাকায় আটটি কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। প্রতিটি জ়োনের বাইরে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে। কন্টেনমেন্ট জ়োনের লোকজন যাতে বাইরে বেরোতে না পারেন তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই পুলিশের পক্ষ থেকে লকডাউন-বিধি কার্যকর করার কথা বলা হচ্ছিল। ভবানীপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে বৈঠকও করেন লালবাজারের কর্তারা। এ দিনের কন্টেনমেন্ট জ়োনে অবশ্য ভবানীপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

নিতান্তই প্রয়োজন না হলে কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোন, তা নিয়ে এ দিনই শহরের সর্বত্র মাইকে ঘোষণা শুরু করে পুলিশ। জানানো হয়, মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাতে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘কন্টেনমেন্ট এলাকার বয়স্ক বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের। কারও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে দ্রুত স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় কেউ সমস্যায় পড়লে ১০০ ডায়ালে অথবা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে পারেন।’’

Coronavirus Lockdown Coronavirus in Kolkata Anuj Sharma Kolkata Police Containment Zone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy