উপরের তলার ফ্ল্যাটে কাজ চলছে। দিনেদুপুরে হাতুড়ির বিকট শব্দে কান পাতা দায়। অথচ ঘরে সদ্যোজাত সন্তান রয়েছে। বয়স মাত্র এক মাস। এমতাবস্থায় শব্দ কমানোর জন্য উপরের তলায় অনুরোধ জানাতে গিয়েছিলেন দম্পতি। কিন্তু উল্টে ফিরতে হল অকথ্য গালিগালাজ শুনে। সঙ্গে মিলল খুনের হুমকি! স্থানীয় ক্লাবের লোকজন, অন্য পাড়াপড়শিরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হল তাঁদেরকেও। সোমবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এক মাসের সন্তানকে নিয়ে বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের একটি আবাসনে থাকেন আবীর সরকার ও কিঙ্কিণী সেনগুপ্ত। গত মাসখানেক ধরেই তাঁদের ফ্ল্যাটের উপরের তলায় কাজ চলছে। এ দিকে দম্পতির সন্তান অসুস্থ। শব্দে মাঝেমাঝেই চমকে উঠছিল সে। সোমবার দুপুরেও একটানা আওয়াজ চলতে থাকায় প্রতিবাদ জানাতে উপরের তলার ওই ফ্ল্যাটে যান দম্পতি। সে সময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না। তাই কর্মরত শ্রমিকদের অনুরোধ জানিয়ে ফিরে আসেন আবীরেরা। তার পর তাঁদের সমস্যার কথা লেখেন আবাসনের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে। তাঁদের দাবি, তাঁরা যথেষ্ট বিনীত ভাবেই শব্দ কমানোর অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। উল্টে গ্রুপেই দম্পতিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন ওই প্রতিবেশী অনিন্দ্য সরকার ও তাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন:
সে সব কথোপকথনের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেছেন দম্পতি। অভিযোগ, এর পর সন্ধ্যায় ওই প্রতিবেশী ও তাঁর স্ত্রী বাড়ি ফেরেন। শুরু হয় আর এক দফা বাগ্বিতণ্ডা। সঙ্গে গালিগালাজ, খুনের হুমকি চলতে থাকে। পাড়ার ক্লাবের সদস্যেরা এবং অন্য প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে দাবি। অভিযোগ, একজনের মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই বাঁশদ্রোণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দম্পতি। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো করে গোটা ঘটনার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।