বালি পাচার মামলায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত টানা তল্লাশি চালিয়ে মেদিনীপুরের এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৬৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে আর এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেও প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
সোমবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আচমকা হানা দেয় ইডি। শুরু হয় তল্লাশি। সকাল প্রায় ৮টা নাগাদ মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন শিরোমণি ৫ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত যমুনাবালিতে ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়। তিনটি গাড়িতে করে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ইডি-র আরও একটি দল যমুনাবালীর বাড়িতে এসে পৌঁছোয়। তখনই অনুমান করা হচ্ছিল, নথিপত্রে কোন গোলযোগ পাওয়া গিয়েছে কিংবা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এর পর, প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বেরোন আধিকারিকেরা। তাঁদের সঙ্গে দু’টি ব্যাগ ছিল। তবে সে সময় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি ইডি আধিকারিকদের। পরে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে নগদ ৬৫ লক্ষ টাকা, মোবাইল, নানা জরুরি নথি এবং মাইনিং সংক্রান্ত কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রামে একাধিক বালি খাদান রয়েছে সৌরভের। লালগড়ে রয়েছে বিশাল বাংলো ও অফিস। মূলত সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করতেন সৌরভ। যমুনাবালীর বাড়িতে মা, স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে-বৌমাকে নিয়ে থাকেন ওই ব্যবসায়ী। তবে সোমবার তিনি বাড়িতে ছিলেন না। অন্য দিকে, সোমবার গোপীবল্লভপুরের শেখ জহিরুল শেখ নামে আর এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি শুরু করেছিল ইডি। তদন্তকারীদের সূত্রের খবর, তাতেই প্রায় ১২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি উদ্ধার হয়েছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কলকাতার বেশ কয়েকটি ঠিকানাতেও।