প্রতীকী ছবি।
আর্থিক ভাবে দুর্বল এই কারণে কোনও রোগীকে অবহেলা করা যাবে না। তাঁকে চিকিত্সা পরিষেবা দিতেই হবে। রাজ্য সরকারের তরফে এমন কড়া বার্তা দেওয়ার পরে, এমনকী কয়েকটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করার পরেও হুঁশ ফিরছে না বেসরকারি হাসপাতালগুলির একাংশের। সোমবার বাগুইআটির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল।
সোমবার ভোরে বাগুইআটির ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে পেট ব্যথা, জ্বর, বমি নিয়ে চিকিত্সার জন্য আনা হয় কৈখালির মণ্ডলগাঁথির বাসিন্দা ফিরোজ খানকে (৪০)। ফিরোজের পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের আরএমও ফিরোজকে দেখার পরে ভর্তি করে দেওয়ার কথা জানান। কিন্তু ভর্তি করার আগেই টাকা দাবি করেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ওই টাকা সেই সময়ে না দেওয়ায় ফিরোজকে ভর্তি করা নিয়ে শুরু হয়ে যায় টালবাহানা। এর মধ্যেই পেরিয়ে যায় কয়েক ঘণ্টা সময়। পরিবারের দাবি, সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় ফিরোজের। তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার গাড়ি চালক ছিলেন বলে পরিবার সূত্রের খবর। পুলিশ জানায়, এর পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ফিরোজের পরিবারের লোকজন এবং আরও অনেকে মিলে শুরু করেন ভাঙচুর। নার্সিংহোমের কাচ ভাঙা হয়, চেয়ার-টেবিল ফেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, সকালে যখন রোগীকে আনা হয়েছিল, তখনই ভর্তির সুপারিশ করা হয়েছিল হাসপাতালের তরফে। বলা হয়েছিল, রোগী যে ইন্ডিয়ার এয়ারলাইন্সের চালক, তার তথ্য জমা দিতে। তথ্য না পেলে তখন টাকা দিতে হবে। রোগীকে তখনকার মতো নিয়ে চলে যাওয়া হয়। তার পরে ফের মৃত অবস্থায় তাঁকে আনা হয়।
নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy