Advertisement
E-Paper

১৩০ কিমি গতিতে কলকাতাকে তছনছ করতে পারে আমপান, বাড়িতে থাকার পরামর্শ

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, আমপানের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হবে কলকাতায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২০ ১৫:১৯
আমপানের জেরে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে কলকাতায় অঝোরে বৃষ্টি চলবে বুধবার। ছবি: এএফপি।

আমপানের জেরে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে কলকাতায় অঝোরে বৃষ্টি চলবে বুধবার। ছবি: এএফপি।

মূলত এ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাতে আমপান ছোবল মারলেও, রেহাই নেই কলকাতারও। প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অঝোরে বৃষ্টি চলবে বুধবার সারাদিনই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, আমপানের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হবে কলকাতায়। সকালের দিকে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১১০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে।

প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে শহরের বিভিন্ন অংশে। শহরের বহু জায়গায় পুরনো বাড়ি রয়েছে। সেগুলোর ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাস্তার ধারে বড় বড় গাছ রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে সেগুলো উপড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই ওই সময়ে বাড়ির বাইরে না থাকার জন্য শহরবাসীদের পরামর্শ দিয়েছে আবহওয়া দফতর। সেই সঙ্গে দোকান-বাজার বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে।

গতি বাড়িয়ে ক্রমশ এ রাজ্যের দিকে এগিয়ে আসছে আমপান। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতায় ঝড়ের তাণ্ডব চলবে। সঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। ঝড়ের মোকাবিলায় সোমবার থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ ও পুরসভা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরও পড়ুন: পাশে আছি, মমতাকে ফোন করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস অমিতের

আরও পড়ুন: বাতাসের তীব্রতা মাপতে ব্যর্থ যন্ত্র, গত শতকের বিধ্বংসীতম ঘূর্ণিঝড়ে ছিন্নভিন্ন হয় ওড়িশা

ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বৈঠক করেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানে প্রশাসকমণ্ডলীর চার সদস্য ছাড়াও সেচ, কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার সমস্ত দফতরের ডিজি-রা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুর কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে আগামী ক’দিন। ঝড়বৃষ্টির সময়ে রাস্তার গালিপিট যাতে আটকে না যায়, সে দিকেও নজর রাখা হবে। ঝড়ে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই গাছ কাটার যন্ত্র নিয়ে তৈরি থাকবেন পুরকর্মীরা। শহর জুড়ে যে সব বড় হোর্ডিং আছে, দ্রুত সেগুলিকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ। এখন গঙ্গার জলস্তর বেশ নীচে। তাই বৃষ্টির সময়ে গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত লকগেটগুলি খুলে রাখতে বলা হয়েছে সেচ দফতরকে। যাতে জমা জল দ্রুত বেরোতে পারে।

লালবাজার সূত্রের খবর, ঝড়ে জরাজীর্ণ বাড়ি ভেঙে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, তার জন্য ওই সমস্ত বাড়ি এবং সেখানকার আবাসিকদের নামের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে প্রতিটি থানাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে নির্মীয়মাণ বিভিন্ন বহুতলের ছাদ থেকে ক্রেন বা ভারী যন্ত্রপাতি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতেও থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।

Cyclone Amphan Cyclone
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy