শহরের বুকে এসি মেট্রো যেন আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার হাত আটকে এক যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা কেউ প্রত্যক্ষ করেছেন সরাসরি সেই ট্রেনের যাত্রী হিসেবে। কেউ আবার টেলিভিশনে সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠছেন। তার জেরে সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিন থেকে অনেক যাত্রীই চাইছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রো এড়িয়ে যেতে।
ঠিক যেমন বিশ্বজিৎ মণ্ডল। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্বজিৎ দেখেছিলেন কী ভাবে দরজায় হাত আটকে যাওয়ার পরে চলন্ত ট্রেনে ঝুলতে ঝুলতে যাচ্ছিলেন যাত্রী সজল কাঞ্জিলাল। তার পরে কী ভাবে সজলবাবু ছিটকে পড়ে মারা যান— সবটাই নিজের চোখে দেখেছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী বিশ্বজিৎ। মহাত্মা গাঁধী রোড থেকে যতীন দাস পার্কে যাওয়ার জন্য ওই মেট্রোতে উঠেছিলেন বিশ্বজিৎ। তিনি ছিলেন তিন নম্বর কামরার তিন নম্বর দরজার পাশেই। যে দরজা দিয়ে উঠতে গিয়েই হাত আটকে যায় সজলবাবুর।
বিশ্বজিতের কথায়, ‘‘সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। বার বার চোখের উপরে সেই দৃশ্য ভেসে উঠছে। সোমবার থেকে ফের অফিস শুরু হবে। আর এসি মেট্রোয় উঠব না।’’ তিনি জানান, শনিবারের ঘটনার পরে ট্রেনটি ফের পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে ফেরত এলেও প্রায় ২০ মিনিট দরজা খোলেনি। এসি বন্ধ ছিল। সঙ্গে পোড়া গন্ধ। সেই বিভীষিকা এদিনও তাড়া করছে তাঁকে।