প্রতীকী ছবি
ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে চিকিৎসক কন্যার দেহ। তা দেখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান বাবা। ঘণ্টাখানেক পরে খবর এল, উল্টোডাঙা স্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় ওই তরুণীর বাবা জখম হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে তরুণীর মা আত্মঘাতী হয়েছিলেন। বুধবারের সন্ধ্যায় ওই পরিবারের মর্মান্তিক পরিণতিতে স্তব্ধ কেষ্টপুরের বারোয়ারিতলা।
মৃত তরুণী দেবপ্রীতা সাহা (২৫) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বেলঘরিয়ায় বাড়ি হলেও কেষ্টপুরে ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন দেবপ্রীতা। এ দিন সন্ধ্যায় মেয়ের ফ্ল্যাটে যান বাবা দিলীপ সাহা। ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যান থেকে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। দেহের কাছেই ছিল মোবাইল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মাইকেল মণ্ডল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘরের সামনের জটলা ঠেলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান তিনি। ঘণ্টাখানেক পরে দিলীপবাবুর দাদার ফোনে এক অপরিচিত ব্যক্তি জানান, তাঁর ভাই ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়ে আর জি করে চিকিৎসাধীন।
জিআরপি সূত্রের খবর, পাতিপুকুরের দিক থেকে রেললাইন ধরে হাঁটার সময়ে এক ব্যক্তি রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ট্রেনের ধাক্কায় জখম হয়েছেন, সে খবর মিলেছে। ওই ব্যক্তিকে আর জি করে পাঠানো হয়। তিনিই দিলীপবাবু কি না, জিআরপি সূত্রে সেই নিশ্চয়তা মেলেনি। তবে ওই সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় জখম হওয়ার আর কোনও ঘটনা নেই বলে জানা গিয়েছে। যদিও তরুণীর আত্মহত্যার পরে বাবার ট্রেনের ধাক্কায় জখম হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ।
তরুণীর পরিচিতেরা জানিয়েছেন, মায়ের মৃত্যুর পর থেকে অবসাদে ভুগছিলেন দেবপ্রীতা। তবে এ খবরের জন্য তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy