Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Priest

পুরোহিতের দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ

পুলিশ সূত্রের খবর, মহেশতলার রায়পুরের বাসিন্দা অশোকবাবু বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুজোর জন্য কয়েক জন ব্রাহ্মণের খোঁজে বেরিয়েছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১০
Share: Save:

এক পুরোহিতের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকালে নোদাখালি থানার বাওয়ালি এলাকায় একটি নার্সারির সামনে থেকে অশোক চট্টোপাধ্যায় (৪০) নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পাশেই পড়ে ছিল তাঁর সাইকেলটি। পরিবারের অভিযোগ, অশোকবাবুকে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মহেশতলার রায়পুরের বাসিন্দা অশোকবাবু বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুজোর জন্য কয়েক জন ব্রাহ্মণের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। তাঁর পরিজনেরা জানিয়েছেন, সাধারণত অন্য জায়গা থেকে ব্রাহ্মণদের আনতেন অশোকবাবু। বাওয়ালি চত্বরে কখনও যেতেন না। তাই কেন তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। এ দিন সকালে রাস্তার ধারে অশোকবাবুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা অশোকবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পকেটে থাকা মোবাইল থেকে নম্বর নিয়ে পুলিশ বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে দুই যুবক একাধিক বার অশোকবাবুর খোঁজে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। এতে সন্দেহ হয় পাড়ার লোকেদের। তাঁদের অনুমান, অশোকবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় ওই দুই যুবক জড়িত। অশোকবাবুর পড়শিরা ওই দু’জনকে আটক করে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশ পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ জানিয়েছে, আপাত ভাবে অশোকবাবুর দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে তাঁর দেহ উদ্ধারের সময়ে মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। পরিজনেদের অভিযোগ, বিষ খাইয়ে অশোকবাবুকে খুন করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। নোদাখালি থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nodakhali dead body Priest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE