Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in Kolkata

পুজোয় করোনা ও ডেঙ্গি না বাড়ে, চলবে অভিযান

পুরসভা সূত্রের খবর, পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে মণ্ডপ চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:০৭
Share: Save:

গত কয়েক দিনে সামান্য কমেছে করোনার সংক্রমণ। মশাবাহিত রোগের প্রকোপও এ বার তুলনায় কিছুটা কম। চলতি সপ্তাহেই পুজো। ওই সময়ে করোনা বা ডেঙ্গি যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিধাননগর পুরসভা।

পুরসভা সূত্রের খবর, পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে মণ্ডপ চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোনও ভাবেই যেন সেখানে জল বা আবর্জনা জমে না থাকে। সেই সঙ্গে মণ্ডপ নিয়মিত ভাবে জীবাণুমুক্তও করতে হবে। এর পাশাপাশি, মেনে চলতে হবে কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি।

পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিধাননগরে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজারের কাছাকাছি। তবে আশার কথা হল, গত কয়েক দিনে দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। সুস্থতার হারও একটু বেড়েছে।

পুজোকে কেন্দ্র করে কোভিড সংক্রান্ত কী কী সুরক্ষা-বিধি মেনে চলতে হবে, সে সম্পর্কে আগেই জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু প্রতিটি পুজো কমিটি সমস্ত নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা মানছে কি না, সে বিষয়ে নজরদারি চালানো প্রয়োজন। পুরকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি ওয়ার্ডেই আলাদা ভাবে নজরদারির কাজ শুরু হয়েছে। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় জানান, করোনা এবং ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুজোর সময়েও কাজ চালিয়ে যাবে পুরসভা।

বিধাননগরের বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, এখন বিধাননগর পুরসভা পরিচালনার

দায়িত্বে প্রশাসকমণ্ডলী। তাই পুজোর সময়ে পরিষেবার গতি কতটা বজায় থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের। যদিও প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, ঢিলেমির কোনও প্রশ্নই নেই। পরিষেবা অব্যাহত

থাকবে। তার জন্য প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জঙ্গল সাফাই ও রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। আলোর সমস্যাও দ্রুত মেটানোর চেষ্টা চলছে।

কৃষ্ণা জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকা জীবাণুমুক্ত করা ও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজেই আপাতত বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। পুজোর সময়েও তা অব্যাহত থাকবে। সচেতনতার প্রসারেও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। লিফলেট ও ব্যানার-হোর্ডিংয়ের পাশাপাশি মাইকিং করেও সতর্কতার বার্তা দেওয়া হবে। রাস্তাঘাটে ও মণ্ডপ চত্বরে মাস্ক পরা-সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য-বিধি মানা হচ্ছে কি না, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে সমস্ত পুজো কমিটি আর্থিক ভাবে একটু সমস্যায় রয়েছে, প্রয়োজনে পুরসভাই তাদের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE