E-Paper

আগুনে পুড়ল বস্তির ঘর

এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে। বেশির ভাগ বাসিন্দা কোনও রকমে তাঁদের জিনিসপত্র বার করে আনতে সমর্থ হন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই বস্তির একটি টালির চালের ঘরে প্রথম আগুন দেখা যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৫
কেউ হতাহত না হলেও অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে।

কেউ হতাহত না হলেও অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে। —প্রতীকী চিত্র।

আগুনে পুড়ে গেল গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাঁকুলিয়া বস্তির কয়েকটি ঘর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায় বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে। বেশির ভাগ বাসিন্দা কোনও রকমে তাঁদের জিনিসপত্র বার করে আনতে সমর্থ হন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই বস্তির একটি টালির চালের ঘরে প্রথম আগুন দেখা যায়। নিমেষের মধ্যে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আতঙ্কে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

বস্তির দুই বাসিন্দা জোনাকি মণ্ডল এবং সবিতা দাস বলেন, ‘‘হঠাৎই দেখি, টালির ছাউনি দেওয়া একটি ঘর দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে। সিলিন্ডার ফাটার আওয়াজও পাচ্ছিলাম। পাড়ার ছেলেরা আগুন নেভাতে বালতি বালতি জল ঢালছিল। কিন্তু কোনও ভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। পড়িমড়ি করে সবাই বেরিয়ে আসতে পারায় আরও বড় অঘটন এড়ানো গিয়েছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দিলে সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু, ততক্ষণে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে টালির চালের কয়েকটি ঘর। স্নেহা সিংহ নামে বস্তির এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমার ঘরের ঠিক পাশে টালির চালের ঘরে আগুন লেগেছিল। আমার ঘর পুরো পুড়ে গিয়েছে। টাকাপয়সা, জিনিসপত্র— কিছুই বাঁচাতে পারিনি। বাড়ির লোকদের নিয়ে স্থানীয় ক্লাবে আশ্রয় নিয়েছি।’’

আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল। তবে স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, যে ঘরে প্রথম আগুন লেগেছিল বলে তাঁরা মনে করছেন, সেই ঘরটি তালাবন্ধ ছিল। বাসিন্দাদের ধারণা, কোনও ভাবে মোমবাতি বা প্রদীপ থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Fire Gariahat Fire Brigade

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy