Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

জেটির দৈর্ঘ্য কমিয়ে প্রকল্পের প্রস্তাব 

মঙ্গলবার হাওড়ার পদ্মপুকুর জলপ্রকল্প চত্বরে হওয়া ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ কথাই স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

থমকে: এই ইনটেক জেটি তৈরি নিয়েই চলছে চাপান-উতোর। —ফাইল চিত্র।

থমকে: এই ইনটেক জেটি তৈরি নিয়েই চলছে চাপান-উতোর। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৩
Share: Save:

হাওড়ায় নির্মীয়মাণ দু’টি জলপ্রকল্পের জন্য তৈরি হওয়া ‘ইনটেক’ জেটির দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার থেকে কমিয়ে ৩৫ মিটার করা হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই জেটি অন্যত্র সরানো যাবে না। বন্ধ করা যাবে না জেটি ও জলপ্রকল্পের কাজও।

মঙ্গলবার হাওড়ার পদ্মপুকুর জলপ্রকল্প চত্বরে হওয়া ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ কথাই স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রীর দাবি, জেটির দৈর্ঘ্য কমানোর প্রস্তাব প্রাথমিক ভাবে মেনে নিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে খুব শীঘ্রই তাঁদের বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

হাওড়া পুরসভা এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহ বাড়াতে নাজিরগঞ্জের গোয়াবেড়িয়ায় গঙ্গার ধারে একটি ইনটেক জেটি তৈরি করে সেখান থেকে জল তুলে পাইপলাইনের মাধ্যমে পদ্মপুকুরে পাঠানোর জন্য কাজ চলছিল পুরোদমে। কিন্তু গত তিন মাসে বন্দর কর্তৃপক্ষ হাওড়া পুরসভাকে দু’টি চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয় এবং জানায়, ওই জেটি শিপিং চ্যানেলের খুব কাছে তৈরি হচ্ছে। ফলে জাহাজ ঘোরানোর ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা হবে। সেই নোটিস আসার পরেই ২১৫ কোটির টাকার প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

এ নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবারই হাওড়ায় পদ্মপুকুর জলপ্রকল্পের ভিতরে পুরমন্ত্রীর নেতৃত্বে হাওড়া পুরসভা, কেএমডিএ এবং কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য, প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান অরবিন্দ গুহ, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ অরুণ রায়চৌধুরী, পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ এবং বন্দরের তিন অফিসার।

ঘণ্টা দেড়েকের বৈঠকের পরে পুরমন্ত্রী বলেন, ‘‘বন্দর কর্তৃপক্ষ গোয়াবেড়িয়ার ইনটেক জেটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। অথচ, আমরা বন্দরকে টাকা জমা দিয়ে কাজ করেছি। আমাদের ৫০ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। নদীতে পাইলিং-ও হয়ে গিয়েছে। এখন ওঁরা বলছেন, অন্য জায়গায় করতে।’’

মন্ত্রী জানান, তিনি বন্দরকে প্রস্তাব দিয়েছেন, জেটির দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার থেকে কমিয়ে ৩৫ মিটার করা হবে। সেখান থেকেই দু’কোটি গ্যালন জল তোলা হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ওই জেটি তৈরি করার জন্য বন্দরকে টাকা জমা দিয়েছিলাম। জল নিয়ে সমীক্ষা রিপোর্টও ওদের দিয়েছিলাম। আমরা দেখেছি, বন্দর ও রেলের কাছ থেকে অনুমতি পেতে বছরের পর বছর লেগে যায়। তাই আমরা অপেক্ষা না করেই কাজ শুরু করেছিলাম।’’

এ দিন বন্দরের তরফে জানানো হয়, বৈঠকে যে বিকল্প (জেটির দৈর্ঘ্য কমানো) প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার খুঁটিনাটি বন্দর কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন। যৌথ ভাবে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হবে। তবে কেএমডিএ-কে বলা হয়েছে, ওই জেটি বাদ দিয়ে দু’কিলোমিটার দূরে বটানিক্যাল গার্ডেনের পাশে ইনটেক জেটি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Firhad Hakim Water Project Kolkata Port Trust
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE