Advertisement
E-Paper

ক্রেডিট কার্ড জাল করে চুরি, ধৃত চক্র

দল বেঁধে ব্যাঙ্ক-জালিয়াতির ছক কষেছিল ওরা। বছরখানেক ধরে চলছিল বেশ ভালই। বিভিন্ন ভুয়ো নামে নথিপত্র তৈরি করে ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করা হত। ব্যাঙ্ককে বোকা বানিয়ে ক্রেডিট কার্ডগুলি ভুয়ো ঠিকানায় হাতিয়েও নেওয়া হত। তার পরে ওই কার্ডের মাধ্যমেই লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যেত ব্যাঙ্ক থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০১
Share
Save

দল বেঁধে ব্যাঙ্ক-জালিয়াতির ছক কষেছিল ওরা। বছরখানেক ধরে চলছিল বেশ ভালই। বিভিন্ন ভুয়ো নামে নথিপত্র তৈরি করে ব্যাঙ্কে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করা হত। ব্যাঙ্ককে বোকা বানিয়ে ক্রেডিট কার্ডগুলি ভুয়ো ঠিকানায় হাতিয়েও নেওয়া হত। তার পরে ওই কার্ডের মাধ্যমেই লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যেত ব্যাঙ্ক থেকে। সেই টাকা ব্যাঙ্ক আদায় করতে গেলে দেখা যেত, সমস্ত কিছুই ভুয়ো। কিন্তু এত কিছু করেও হল না শেষরক্ষা। সকলেই ধরা পড়ল পুলিশের জালে। বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক দিনে ধরে সাত জনকে ধরা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর জাল ক্রেডিট কার্ড, দশটি মোবাইল, কম্পিউটার, প্রিন্টার, প্রচুর যন্ত্রপাতি ও জাল নথি।

পুলিশ জানায়, নোয়াপাড়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ল্যাবরেটরি তৈরি করে জালিয়াতেরা। কম্পিউটারের মাধ্যমে জাল ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইন্সেসের মতো নথিপত্র তৈরি করা হত। এই নথিপত্রগুলি এতটাই খঁুটিয়ে তৈরি করা হত যে, ব্যাঙ্কের সমীক্ষাতেও তা অনেক সময়ে ধরা পড়ত না। এদের অনেকেরই ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট এবং চেক ছিল বলে জানাচ্ছে পুলিশ। ব্যাঙ্কের লোকের কাছ থেকে ওই ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য কম পয়সায় বাড়ি ভাড়া নেওয়া হত। তার পরে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মিলে ভুয়ো ঠিকানা দেখিয়ে ওই কার্ড হাতিয়ে নেওয়া হত। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “এ ভাবে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে হাতিয়েও নিয়েছিল অভিযুক্তেরা। আরও কেউ এর সঙ্গে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

এ বছরের ২৭ অগস্ট শেক্সপিয়র সরণি থানায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মূল অফিসের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, শুধু ওই ব্যাঙ্কই নয়, আরও দু’একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকেও এমন কায়দায় ক্রেডিট কার্ড হাতিয়েছিল ওরা। বেশ কয়েক দিন ধরে ব্যারাকপুর, সল্টলেক এবং কলকাতা থেকে সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম শঙ্কর আঢ্য, বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব অধিকারী, অভিজিত্‌ পাল, দেবরাজ বিশ্বাস, শুভ্রদীপ চৌধুরী, সুনীল পাটোয়া। এদের মধ্যে প্রথম পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করানো হলে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করে নোয়াপাড়ার ওই ল্যাবরেটরির কথা জানতে পারে পুলিশ। এর পরেই অভিযান চালিয়ে ওই বাড়িটি থেকে সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়।

credit cards fake gang theft fraud kolkata news online kolkata news credit card scam police arrested money theft

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}