Advertisement
E-Paper

অবাধ পুলে ক’জন সাঁতার জানে, কেউ দেখে না

রবীন্দ্র সরোবরে ‘ফ্রি সুইমিং পুল’ এ সাঁতার অথবা স্নান করা কতখানি নিরাপদ তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৯ ০০:০১
পুলের ঘেরাটোপের বাইরেও সাঁতার কাটেন অনেকে। নিজস্ব চিত্র

পুলের ঘেরাটোপের বাইরেও সাঁতার কাটেন অনেকে। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্র সরোবরে ‘ফ্রি সুইমিং পুল’ এ সাঁতার অথবা স্নান করা কতখানি নিরাপদ তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

গত বুধবার সুইমিং পুলের জলে শাহেনশাহ আলম নামে এক যুবকের মৃত্যুর পরেই সুইমিং পুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। সোমবার অবশ্য এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ঘটনার পরে ওই সুইমিং পুল বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, যত ক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ ওই সুইমিং পুল খোলার ব্যাপারে অনুমতি দিচ্ছে, তত ক্ষণ তা বন্ধ থাকবে।

কেএমডিএ নিয়ন্ত্রিত এই ফ্রি সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার অসুবিধা কোথায়?

কেএমডিএ সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা যাতে স্নান করতে পারেন সেই কারণেই সরোবর চত্বরের ভিতরে স্নান করার জন্য বহু দিন আগেই ওই পুকুর কাটা হয়েছিল। পরে, সুইমিং পুল তৈরি করা হয়। ওই জায়গায় স্নান করার জন্য কোনও অর্থ নেওয়া হয় না। দিনে দু’বার-সকাল ও বিকেলে ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য ওই সুইমিং পুল খোলা হয়। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা থাকে। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা স্নান বা সাঁতার কাটতে সুইমিং পুলে নামছেন তাঁরা সাঁতার জানেন কি না তা বোঝার উপায় কী?

সে ক্ষেত্রে সব সময়েই বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়।

কেএমডিএ-র অবশ্য বক্তব্য, পুকুরের মধ্যে যে অংশটি সাধারণের জন্য সুইমিং পুল হিসেবে ব্যবহার করা হয় তা ঘেরা থাকে। এই জায়গায় জলও কম রাখা হয় যাতে কেউ ডুবে না যান। কিন্তু ওই অংশের বাইরে পুকুরের ভিতরে যে জল রয়েছে তার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। বিজ্ঞানসম্মত কারণেই ওই জলের পরিমাণ বেশি রাখা হয় বলেও কর্তৃপক্ষের দাবি।

কর্তৃপক্ষের মতে, পুলের মধ্যে স্নান না করে অনেক সময়ে পুলের ঘেরাটোপ পেরিয়ে যে অংশে বেশি জল সেখানে সাঁতারুরা চলে আসেন। অনেকে পুলের সীমানা টপকে পুকুরের অন্য অংশে স্নানও করেন। নিরাপত্তারক্ষীদের দায়িত্ব তা দেখবার। কিন্তু যাঁরা এমনটা করছেন, তাঁরা সাঁতার জানেন কি না তা জানার জন্য কোনও পরিকাঠামো এখানে এখনও নেই। তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হল এখানে সাঁতার কাটতে নামার সময়ে তাকে সাঁতারের প্রশিক্ষণের কোনও শংসাপত্র দেখিয়ে তবে নামতে পারেন। সুইমিং পুলের যে প্রাচীর রয়েছে তা আরও উঁচু করা যেতে পারে যাতে পুলের মধ্যে সাঁতার কেটে ওই প্রাচীর পেরিয়ে পুকুরের অন্য দিকে কেউ না যেতে পারে। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট কোনও সংস্থাকেও ওই সুইমিং পুল চালানোর জন্য দেওয়া হতে পারে।

Death Swimming Pool Rabindra Sarobar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy