Advertisement
E-Paper

দোকানে কেপমারি, লুট টাকা-গয়না

কয়েক মিনিটের মধ্যেই মিঠুদেবীর স্বামী দোকানে এসে দেখেন, স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দিনেদুপুরে এক মহিলাকে বেহুঁশ করে তাঁর গয়না ও ১৭ হাজার টাকা লুট করে পালাল আর এক মহিলা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার সন্তোষপুর অ্যাভিনিউয়ে। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত মহিলাকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা, বছর চল্লিশের মিঠু মল্লিকের সন্তোষপুর অ্যাভিনিউয়ে একটি শাড়ির দোকান রয়েছে। মিঠুদেবী বলেন, ‘‘সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এক মহিলা দোকানে ঢুকে শাড়ি দেখতে চান। মিনিট দশেক ধরে ওই মহিলা একের পর এক শাড়ি দেখতে চাওয়ায় আমি প্রথমে একটু বিরক্তই হয়েছিলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার দোকানের উপরের তলাতেও শাড়ি রাখা থাকে। কাঠের সিঁড়ি বেয়ে সেখানে যখন উঠছি, তখনই আমার মুখে জলের মতো কিছু একটা ছিটিয়ে দেন ওই মহিলা। বিকট গন্ধ সেটির।’’ পুলিশকে মিঠুদেবী জানিয়েছেন, এর পরে কাঠের সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতেই বেহুঁশ হয়ে পড়েন তিনি। তখনই তাঁর গলা থেকে সোনার হার, হাতের সোনার বালা, কানের দুল, আংটি, ব্যাগে রাখা সাত হাজার ও ড্রয়্যারের দশ হাজার টাকা নিয়ে পালায় ওই মহিলা। বছর চল্লিশের অভিযুক্ত মহিলার পরনে ছিল ছাপা শাড়ি, গায়ে মেরুন চাদর ও কপালে টিপ।

কয়েক মিনিটের মধ্যেই মিঠুদেবীর স্বামী দোকানে এসে দেখেন, স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মিঠুদেবীর চোখেমুখে জল দিতে ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে পান তিনি। আতঙ্কিত মিঠুদেবীর কথায়, ‘‘সোমবারের ঘটনার পরে আমার হাঁটাচলার বিন্দুমাত্র ক্ষমতা ছিল না। প্রচণ্ড বমি শুরু হয়।’’

মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কিছুটা সুস্থ হয়ে সার্ভে পার্ক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। মিঠুদেবী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসককে দেখাই। এখনও আতঙ্ক কাটেনি।’’ পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্ত মহিলাকে শনাক্ত করেছে। লালবাজার জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা আগেও একই কায়দায় কেপমারির ঘটনা ঘটিয়েছে।

Crime Kepmari Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy