—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় মেয়েদের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হল। কলকাতা জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে প্রথম পর্যায়ে ১০টি স্কুলে এই কাজ হবে। তার মধ্যে ছ’টি স্কুলে ইতিমধ্যেই ক্যামেরা বসানো হয়ে গিয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ে কেন এত কম স্কুলে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার পরে সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে তৎপরতা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত সেই কাজ শুরু হয়নি। তবে, ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম পর্যায়ে সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মেয়েদের স্কুলগুলিতে এবং ছাত্রী-আবাসে ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গার্ডেনরিচের মৌলানা আজাদ মেমোরিয়াল গার্লস, খন্না গার্লস হাইস্কুল, বড়িশা গার্লস, বিনোদিনী গার্লস, জাজ আবদুল বারি গার্লস হাইস্কুল এবং দমদম রোড গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুল ফর গার্লসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ। তবে ছেলেদের স্কুল এবং হস্টেলগুলিতেও ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘মেয়েদের স্কুলের পরে ছেলেদের স্কুলগুলিতেও ক্যামেরা বসানো হবে। সিসি ক্যামেরা বসবে হস্টেলেও।’’
চলতি বছরে কলকাতার যে সব স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল, সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কিন্তু, পরীক্ষার পরে সেগুলি খুলে নেওয়া হয়। শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষার সময়ে সিসি ক্যামেরার নজরদারি দরকার তো আছেই, সেই সঙ্গে স্কুলের দৈনন্দিন কাজের সময়েও ক্যামেরা দরকার।
তবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের অনেকে সিসি ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষণের প্রসঙ্গটিও তুলে আনছেন। কিছু স্কুলের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ক্যামেরা লাগিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মতে, নজর দিতে হবে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের উপরেও। কারণ, অনেক সময়েই দেখা যায়, ক্যামেরা দেখাশোনায় প্রয়োজনীয় টাকা না থাকায় প্রায়ই সেই সব ক্যামেরা কিছু দিন পরে খারাপ হয়ে যায়। যেমন, কেষ্টপুর এলাকার দেশপ্রিয় বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা নাজ়রিন নাহার বলেন, ‘‘আমরা স্কুলে নিজেদের উদ্যোগে ক্যামেরা লাগিয়েছি। সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও আমাদের বইতে হচ্ছে। এ বার শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে ক্যামেরা বসলে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবে তারাই। ফলে, আর্থিক দিক থেকে আমাদের অনেকটাই সাশ্রয় হবে।’’
বেলগাছিয়া মনোহর অ্যাকাডেমির প্রধান শিক্ষক উৎপল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের মতো স্কুলে নিজ উদ্যোগে ক্যামেরা লাগানো সম্ভব নয়। ক্যামেরা বসানোর আবেদন জানিয়ে শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছি। এই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হলে ক্লাসে শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে অথবা টিফিনের সময়ে পড়ুয়াদের আচরণের দিকে নজর রাখা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy