সুরক্ষিত ভবিষ্যতের স্বার্থে বিমা করার চল এখন ঘরে ঘরে। আর সেই বিমার টাকাকেই পাখির চোখ করেছে প্রতারকেরা। কখনও বিমা করানোর নামে, কখনও বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে হচ্ছে প্রতারণা। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকাতেও প্রায়ই ঘটছে এমন ঘটনা।
মার্চে বিমার টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে সল্টলেকের এক বৃদ্ধার সওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাজু শীল, সমীরণ দে ও অনশঙ্কর মণ্ডল নামে তিন জনকে ধরে পুলিশ। বুধবার তাদের বিধাননগর আদালত দু’দিন পুলিশি হেফাজত দেয়।
পুলিশ জানায়, মার্চে নিভা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিমা সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে। প্রৌঢ়া জানান, তাঁর ৭২ বছর বয়স। ফলে বিমা করানোর প্রশ্ন ওঠে না। তবে তাঁর প্রয়াত স্বামী বিমা করিয়েছিলেন কি না, তা জানা নেই। ওই ব্যক্তিকে সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাতে অনুরোধ করেন নিভাদেবী।
এর পরেই এক জন নিভাদেবীর বাড়ি গিয়ে জানায়, তাঁর স্বামীর মোটা অঙ্কের কয়েকটি বিমা আছে। টাকা পেতে কিছু খরচ করতে হবে। প্রৌঢ়া বিশ্বাস করে পাঁচটি পোস্ট ডেটেড চেক দেন। তার পরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সওয়া পাঁচ লক্ষ টাকা হাতানো হয়। পুলিশ জেনেছে, ওই টাকা দিয়ে দুষ্কৃতীরা পরিজনেদের নামে বিমা করিয়েছে।
তবে এই ঘটনায় এই তিন জনই আছে না আরও বড় কোনও চক্র সক্রিয়, তা জানতে এ দিন আদালতে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। বিধাননগরের গোয়েন্দা-প্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিমা করানোর কয়েক জন দালালের সক্রিয় ভূমিকা থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। এরা বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সংস্থা খুলে বসেছে। সেখান থেকে বিভিন্ন লোককে ফোন করে বিমা করানোর প্রলোভন দেখাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy