মন্দিরে একসঙ্গে ঢুকে মাতৃমূর্তি দর্শন করতে দেওয়ার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের কাছে কাকুতিমিনতি করছিলেন নবদম্পতি। কিন্তু অফিসারেরা নাছোড়বান্দা, কিছুতেই দু’জনকে একসঙ্গে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। অগত্যা দূরত্ব-বিধি বজায় রেখেই দর্শন সারলেন ওই দম্পতি। আবার বর্তমান অতিমারির সময়ে সামনের সারিতে থেকে লড়ছেন যে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরা, তাঁদের সুরক্ষার জন্য বিগ্রহের কাছে প্রার্থনা করলেন কলকাতা পুরসভার চিকিৎসক সুজাতা চট্টোপাধ্যায়।
লকডাউনে প্রায় ১০০ দিন বন্ধ থাকার পরে বুধবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কালীঘাট মন্দির। সেখানেই এ দিন দেখা গেল এমন টুকরো-টুকরো ছবি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রসাদ, শাঁখা-সিঁদুর, শালপাতা বা ফুল নিয়ে কোনও দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গর্ভগৃহে প্রবেশও ছিল নিষিদ্ধ। গর্ভগৃহের সামনের বারান্দা থেকেই মাতৃমূর্তি দর্শন করেছেন ভক্তেরা।
এ দিন সকাল ছ’টায় সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। তার আগে থেকেই দীর্ঘ লাইন পড়ে ভক্তদের। প্রবেশপথ দু’নম্বর গেটে তৎপর ছিলেন পুলিশকর্মী ও মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবকেরা। গেটের বাইরে জীবাণুনাশক সুড়ঙ্গে পা দিতেই মাথার উপরে পড়েছে জীবাণুমুক্তকরণ রাসায়নিক। তার পরে দেহের তাপমাত্রা মেপে দর্শনার্থীদের ঢোকানো হয়েছে। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে তাঁদের লাইনে দাঁড় করানো হয়েছিল। মন্দিরের ভিতরেও একই দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে প্রতিমা দর্শন। দর্শনার্থী ও পুরোহিতদের মুখে ছিল মাস্ক। গেট থেকে গর্ভগৃহের সিঁড়ির মেঝে পর্যন্ত লেখা ছিল, ‘মেনটেন সেফ ডিসট্যান্স’। মন্দির কমিটি সূত্রের খবর, পাঁঠা বলিও হয়েছে এ দিন।