যাত্রা শুরু।—ছবি পিটিআই।
উৎসুক অনেক যাত্রীই সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর স্টেশনে খোঁজ নিচ্ছিলেন, নতুন পাতালপথে ট্রেন মিলবে কখন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সবুজ পতাকার সঙ্কেত পেয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম ট্রেন সল্টলেক স্টেডিয়াম অভিমুখে ছুটল ঠিকই। তবে সেটি বেবাক ফাঁকা। দ্বিতীয় ট্রেনের সওয়ার শুধু উদ্বোধক রেলমন্ত্রী, অন্যান্য অতিথি আর সংবাদমাধ্যম। ঠাঁই হয়নি যাত্রিসাধারণের। পূর্ব-পশ্চিম পাতালপথের কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, এ দিন নয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে মিলবে এই মেট্রোর পরিষেবা।
যাত্রীরা উদ্বোধনে উপেক্ষিত কেন? সরাসরি জবাব মেলেনি। মেট্রোর তরফে জানানো হয়, উদ্বোধন কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছিল এ ভাবেই। তবে কোনও কোনও শিবিরের পর্যবেক্ষণ, পাছে সিএএ, এনআরসি-র বিরুদ্ধে পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়, তাই যাত্রীদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্ল্যাটফর্মে বসানো সুইস সংস্থার তৈরি বিশাল ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট। রেলমন্ত্রীর সঙ্কেত পেয়ে যাত্রী-শূন্য প্রথম ট্রেন দৌড় শুরু করল। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে এল দ্বিতীয় ট্রেন। খুলে গেল প্ল্যাটফর্মে বসানো স্বচ্ছ কাচের স্ক্রিন গেট। সবুজ গালিচা পাতা পথ ধরে হেঁটে এসে গয়াল, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং রেল ও মেট্রোর শীর্ষ কর্তারা উঠলেন সেই ট্রেনে। রেলমন্ত্রীর যাত্রাসঙ্গী হতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং রেল ও মেট্রোর সাধারণ কর্মী-অফিসারদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল।
আরও পড়ুন: অবশেষে সপ্ন হল সত্যি, এক নজরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো
রেল ও মেট্রোর সাধারণ কর্মীরা রাজ্যের প্রথম আধুনিক মেট্রোয় সওয়ার হওয়ার আনন্দে অভিভূত। অ্যালার্ম বাজতেই বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের দরজা। আমযাত্রী না-থাকলেও বাতানুকূল ট্রেনে তখন প্রায় ঠাসাঠাসি ভিড়। আলোয় সেজে ওঠা শহরের বাড়ির পর বাড়ির কার্নিস ঘেঁষে মসৃণ গতিতে এগিয়ে চলল ট্রেন। করুণাময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক পেরিয়ে সিটি সেন্টারে পৌঁছতেই নেমে পড়লেন মন্ত্রী, অন্য অতিথিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy