ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর বাকি এক মাস। চলছে আনলক পর্ব। তবু বড়বাজার, ক্যানিং স্ট্রিট, ধর্মতলা, নিউ মার্কেট চত্বরের মতো বাণিজ্যিক এলাকায় তেমন ভিড় নেই! ফলে পুজোর কেনাকাটার জন্য যানজট নেই ওই সব বাজার এলাকায়, জানাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
অন্য বার পুজোর মাস দেড়েক আগে থেকেই মহাত্মা গাঁধী রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির লম্বা লাইন চোখে পড়ে। জওহরলাল নেহরু রোড পার হতেই হিমশিম খেতে হয়। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে ধর্মতলা চত্বর থেকে শনি ও রবিবার গাড়ির পথই ঘুরিয়ে দিত কলকাতা পুলিশ। কোথায় সে সব? তবুও নিশ্চিন্তে থাকছে না লালবাজার। যার একটি কারণ, কেনাকাটার ভিড় না থাকলেও রয়েছে বিক্ষিপ্ত যানজট। অন্য কারণ হল, নতুন মাসে বাজারে ভিড় যে বাড়বে না, সে কথাও নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, তাই যে সব ট্র্যাফিক গার্ড এলাকায় কেনাকাটার ভিড়ে যান নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়, সেখানে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সোমবার লালবাজারে বৈঠকে ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা জেনে নিয়েছেন নিউ মার্কেট, মহাত্মা গাঁধী রোডে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা হবে।
আরও পড়ুন: ঘাটতি ১৭১ কোটি, পেশ হল পুর বাজেট
আরও পড়ুন: বৌবাজারের রাস্তায় ‘হেনস্থা’য় জামিন পুলিশকর্তার
যেমন, ধর্মতলা ও নিউ মার্কেটের ভিড়েও গাড়ির গতি যাতে স্বাভাবিক থাকে, সে জন্য ট্র্যাফিক গার্ড অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে। লালবাজারের তরফে পাঠানো হচ্ছে অতিরিক্ত অফিসার ও বাহিনী। বড়বাজারে অবস্থা সামাল দিতে ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গড়িয়াহাট চত্বরের ভিড় সামলাতে প্রয়োজনে বাইরের বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে বলে কর্তারা জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, প্রতি বছর পুজোর মাস দুয়েক আগেই ছোট ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে জিনিস কিনতে ভিড় জমান বড়বাজার, ক্যানিং স্ট্রিটে। ফলে মহাত্মা গাঁধী রোড, ব্রেবোর্ন রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং কলেজ স্ট্রিটে গাড়ির লাইন পড়ে যায়। ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, “পুজোর কেনাকাটার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত রাস্তা আটকে যাওয়ার মতো ভিড় দেখা যায়নি।” তিনি জানান, বিক্ষিপ্ত ভাবে যে যানজট হচ্ছে তার অন্যতম কারণ সংক্রমণ ঠেকাতে রাস্তায় নামা অসংখ্য সাইকেল, মোটরবাইক, গাড়ি। ব্যবসায়ীদের আক্ষেপ, করোনা আর মন্দার পাশাপাশি লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় ভিড় হচ্ছে না দোকানে। যদিও লালবাজারের মত, ভিড় টানার সময় এখনও ফুরোয়নি।
এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘আগামী মাস থেকে ভিড় বাড়বে ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। জওহরলাল নেহরু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড, মহাত্মা গাঁধী রোড, গড়িয়াহাট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, উল্টোডাঙা মেন রোড, বিধান সরণির গতি স্বাভাবিক রাখাই সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy