যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগ। এ বার সেই ঘটনার তদন্তে যাদবপুরে পৌঁছোল লালবাজারের গোয়েন্দা দফতর। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যান হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন চলছে। গত বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় নতুন কোনও সূত্র মেলে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।
সোমবারই লালবাজারে যান মৃতা অনামিকা মণ্ডলের বাবা। সেখানে হোমিসাইড বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার পর যাদবপুর থানায় যান তাঁরা। যাদবপুরে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বাবার কথায়, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। না হলে ওই সময় তাঁর একা একা পুকুরের দিকে যাওয়ার কথাই নয়। মৃতার পরিবারের তরফে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে তৎপর হয়েছে পুলিশ। ওই দিন ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা চার পড়ুয়াকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে যতটুকু ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, তা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলের কোনও ফুটেজ তাঁদের কাছে নেই বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের অদূরে ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন এক ঝিল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ওই গেটের সামনে মোট তিনটি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে কোনও ক্যামেরা না থাকায় ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ মেলেনি।