জনবহুল স্থানে ভিড়ে মিশে গিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা ঠেকাতে অত্যাধুনিক ‘ভেহিক্ল মাউন্টেড ব্যাগেজ স্ক্যানার’ কিনছে লালবাজার। প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে ওই চলমান ব্যাগেজ স্ক্যানার কেনা হবে বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। আপাতত দু’টি স্ক্যানার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মূলত শহরের বিভিন্ন সভা ও জনবহুল এলাকায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই দু’টি ‘ভেহিক্ল মাউন্টেড ব্যাগেজ স্ক্যানার’ যন্ত্র ব্যবহার হবে।
গত কয়েক মাসে শহরের একাধিক জায়গা বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কখনও শহরের একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি ইমেল করে বলা হয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটবে। কখনও আবার একই রকম হুমকি-মেল এসেছে ভারতীয় জাদুঘরে। লালবাজারের তরফে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত জায়গা ফাঁকা করে বম্ব স্কোয়াড, পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে পরীক্ষা, তল্লাশি চলেছে। গত কয়েক বছরে একাধিক বার এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এই ধরনের হুমকিতে বার বার নাজেহাল হয়েছেন গোয়েন্দাদের।
জনবহুল স্থানে ভিড়ে মিশে গিয়েও নাশকতার সুযোগ নেয় বিভিন্ন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন। তাই এই ধরনের আশঙ্কা রুখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই বিশেষ স্ক্যানার কেনার পরিকল্পনা বলে লালবাজার জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, জনবহুল স্থানে সাধারণ মানুষের ব্যাগ পরীক্ষা করতে কাজে লাগানো হবে ‘ভেহিক্ল ব্যাগেজ স্ক্যানার’। পাশাপাশি, সভা বা অনুষ্ঠানে যেখানে দ্রুত ও কার্যকর ভাবে ব্যাগ পরীক্ষা করা প্রয়োজন, সেখানেও এগুলি ব্যবহার হবে। আপাতত কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের জন্য দু’টি অত্যাধুনিক স্ক্যানার কেনা হচ্ছে। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী দু’মাসের মধ্যে যন্ত্র দু’টি বাহিনীর হাতে আসবে।
কী সুবিধা রয়েছে এই স্ক্যানারে? লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, মূলত গাড়ির ভিতরে থাকবে বিশাল এই স্ক্যানার, মনিটর ও অন্যান্য জিনিসপত্র। স্ক্যানার কাজ শুরু করলে ভিতরে থাকা মনিটরে স্ক্যানিংয়ের যাবতীয় ছবি দেখা যাবে। বড় যন্ত্রটিতে একাধিক ব্যাগ থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিস দ্রুত পরীক্ষা করাও সহজ হবে। একটি গাড়ির ভিতরে এই স্ক্যানার বসানো থাকায় এটি প্রয়োজন মতো অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সুবিধাও রয়েছে। এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘শহরের সুরক্ষাই এর মূল উদ্দেশ্য। এর সঙ্গে কোনও ভাবেই আপস করা হবে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)