সঙ্গের ব্যাগে কড়কড়ে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা। তবুও ট্যাক্সিচালককে বাড়তি টাকা দিতে রাজি ছিলেন না অভিযুক্ত। লি রোডে গয়না ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে এমনই তথ্য জানতে পারছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
কলকাতায় ট্যাক্সি চাপলেই চালকের বাড়তি টাকা চাওয়ার আবদার ইদানীং নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছিল লি রোডে শান্তিলাল বৈদ হত্যাকাণ্ডেও। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাত ৯টা ৫০ মিনিটে হাওড়া ব্রিজ থেকে ট্যাক্সিতে চেপে অভিযুক্ত যুবক চালককে জানান, তিনি বাড়িতে একটা ব্যাগ ফেলে এসেছেন। তাঁর দাদা সেই ব্যাগ নিয়ে এক্সাইড মোড়ে আসছেন, ব্যাগ নিতে এক্সাইড পৌঁছতে হবে তাঁকে। সেখান থেকে ফিরতে হবে হাওড়া স্টেশন। ১০টা ৪০-এ হাওড়া থেকে ছেড়ে যাবে তাঁর ট্রেন। তাই ট্যাক্সিচালককে বার বার ট্যাক্সির গতি বাড়ানোর জন্য তাড়া দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত যুবক।
ট্যাক্সি এক্সাইড মোড়ে পৌঁছলে সওয়ারি চালককে বলেন, তাঁর দাদা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গেটের সামনে অপেক্ষা করছেন। সেখানে যেতে হবে। ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ দিকের গেটের কাছে গাড়ি থেকে না নেমেই বৈদ পরিবারের কাছ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ভরা ব্যাগ ট্যাক্সিতে তুলে নেন অভিযুক্ত। এ বার সেই ট্যাক্সিচালককেই হাওড়া স্টেশন ফিরতে বলেন তিনি।