Advertisement
E-Paper

ব্যান্ড পার্টি, আতসবাজিতে শুরু বিজয়োৎসবের প্রস্তুতি

বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হতেই মুখে হাসি ফুটেছে ব্যান্ড পার্টির মালিকদের। ২৩ মে শেষ হাসি যারাই হাসুক, বিজয় মিছিলে তাঁদের উপস্থিতি বাঁধা।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ১০:০২
তোড়জোড়: মহাত্মা গাঁধী রোডে ব্যান্ড পার্টির দোকান। ছবি: রণজিৎ নন্দী

তোড়জোড়: মহাত্মা গাঁধী রোডে ব্যান্ড পার্টির দোকান। ছবি: রণজিৎ নন্দী

বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হতেই মুখে হাসি ফুটেছে ব্যান্ড পার্টির মালিকদের। ২৩ মে শেষ হাসি যারাই হাসুক, বিজয় মিছিলে তাঁদের উপস্থিতি বাঁধা। সেই সঙ্গে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে বেড়েছে আতসবাজির চাহিদাও। এমনটাই জানিয়েছে ‘সারা বাংলা আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতি’।

মহাত্মা গাঁধী রোড লাগোয়া ব্যান্ড পার্টির দোকানগুলি এমনিতেই ধুঁকছে। দোকান-মালিকেরা বলছেন, অতীতে বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসবে ব্যান্ড পার্টি ভাড়া করা হত। এখন আর সেই চাহিদা নেই। তবে এ বারের লোকসভা ভোটের বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হতেই বিজয়োৎসবের প্রস্তুতি নিতে যে ভাবে তাঁদের কাছে ফোন আসতে শুরু করেছে, তাতে কিছুটা হলেও তাঁরা অভিভূত।

সোমবার বিকেলে মহাত্মা গাঁধী রোড লাগোয়া বিভিন্ন ব্যান্ড পার্টির দোকানে কর্মীরা ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। দোকান-মালিকদের অনেকেই বলছেন, বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল বেরোতেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি নেতাদের একাধিক ফোন এসেছে। মেহবুব ব্যান্ডের তরফে রাজা সাহেব বলেন, ‘‘বিজেপি-র তরফেই বেশি ফোন এসেছে। ওঁরা ২৩ তারিখ সকালে পাকা কথা বলবেন।’’ কলকাতা ব্যান্ডের তরফে

আবদুল মজিদের কথায়, ‘‘তৃণমূলের তরফে কয়েক জন আমাদের সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন। ভোটের ফলাফল বেরোনোর পরে তাঁরা আমাদের পাকাপাকি জানাবেন।’’ ইন্ডিয়া ব্যান্ডের তরফে নাসির সাবির বলেন, ‘‘আমরা ২৩ তারিখের দিকে চেয়ে রয়েছি। আশা করছি, অন্য বারের চেয়ে এ বার আমাদের বাজার ভাল থাকবে।’’

ব্যবসার যা হাল, তাতে ঘোর দুশ্চিন্তায় একটি ব্যান্ড পার্টির কর্ণধার মহম্মদ নাসির। তাঁর কথায়, ‘‘আগে বিয়ে বা অন্য কোনও উৎসবে শহরে ব্যান্ড পার্টির চলার ক্ষেত্রে অবাধ অধিকার ছিল। এখন পুলিশি নিষেধাজ্ঞায় আমাদের ব্যবসা উঠে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বুথ-ফেরত সমীক্ষায় বিজেপি-র উত্থানের খবর প্রকাশিত হতেই দীর্ঘদিন পরে আমাদের চাহিদা যেন রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে। বরাত দিতে অনেকে ফোন করছেন। বৃহস্পতিবার ফলাফল দেখে নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীরা কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।’’

একই ভাবে ভোটের বাজারে বাজির চাহিদাও অনেকটা বেড়েছে বলে জানালেন সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। তাঁর কথায়, ‘‘গত ১৯ মে থেকে চরকাঁচরাপাড়া, গাংনাপুর, নীলগঞ্জ, বারাসত, হাবড়া, চম্পাহাটি ও নুঙ্গি থেকে প্রচুর বাজি বিক্রি হয়েছে। কালীপুজোর পরে অসময়ে এই বাজি বিক্রি দেখার মতো।’’ তিনি জানান, গত তিন দিনে ৭০ টন বিভিন্ন রকমের আতসবাজি বিক্রি হয়েছে। তৃণমূলের তরফে কেনা হয়েছে সব চেয়ে বেশি।

Lok Sabha Election 2019 Politics TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy