দাদুকে বেদম মার।
তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। অসুস্থ শরীরে তাই আর বাইরে যেতে পারেননি আশি বছরের বৃদ্ধা। সিঁড়িতেই শৌচকর্ম করে ফেলেছিলেন। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে মারধর করলেন তাঁরই নিজের নাতি। ঠাকুরমাকে মারধরের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হল বৃদ্ধার নয় বছরের নাতনিও। অভিযোগ, নাবালিকাকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার দেগঙ্গা থানার যাদবপুরের ওই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, নিজেরই দু’কামরার একটি পাকা ঘরে থাকেন আকিলাল বিবি নামে ওই বৃদ্ধা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির জন্য বাইরে যেতে না পেরে সিঁড়ির সামনে শৌচকর্ম করে ফেলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, তা দেখেই প্রবল রেগে যান বৃদ্ধার নাতি শেখ মিন্টু।
শনিবার আকিলাল বলেন, ‘‘গালিগালাজ করে মিন্টু আমাকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। আমার আর এক ছেলে আজিজ বাধা দিলে ওকে মারধর করা হয়। এ সব দেখে নাতনি ছুটে এলে ওকে চ্যালাকাঠ দিয়ে পেটায়। ওর নাক ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে।’’ বৃদ্ধা আরও বলেন, ‘‘বয়সের ভারে চলতে পারি না। উপায় নেই বলে সিঁড়িতেই শৌচ করেছি। তার জন্য এমনটা ঘটবে ভাবতেই
লজ্জা লাগছে।’’
আকিলালের নাতনিকে বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তার নাকে সেলাই করতে হয়। পরে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মেয়েটিকে। শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে দেগঙ্গা থানায় গিয়ে অভিযোগ করে মেয়েটি।
এ দিন আজিজ শেখ বলেন, ‘‘একটা ভুল করেছে বলে বৃদ্ধা মাকে এ ভাবে হেনস্থা করা মেনে নেওয়া
যায় না। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমি মার খেলাম, মেয়েটার এমন হাল
হল।’’ অন্য দিকে, অভিযুক্ত শেখ মিন্টু বলেন, ‘‘ঠাকুরমাকে প্রতিদিন বলা হয় সিঁড়িতে শৌচকর্ম না করতে। কিন্তু উনি শোনেন না। একটু বকাবকি করেছি, কাউকে মারধর করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy