এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন কাজল দাস। নিজস্ব চিত্র
কয়েক মাস আগেই মৃত্যু হয়েছে সাত বছরের ছেলের। তার পর বাড়তে থাকে স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব। এর মধ্যে লকডাউনে চাকরি খুইয়ে বেকার। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী বলেন মধ্য চল্লিশের এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানা এলাকার বিদ্যাসাগর পল্লিতে। ওই একই থানা এলাকার ধারা পাড়াতে আত্মঘাতী হয়েছেন ৫৯ বছরের এক ব্যক্তি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জেরে অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা।
রবিবার সকালে, বিদ্যাসাগর পল্লিতে ৪৪ বছরের কাজল দাসকে ঘরের সিলিং পাখা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত বছর কালীপুজোর দিনে বাজি পোড়ানোর সময়ে তুবড়ি ফেটে মারা যায় কাজলের সাত বছরের ছেলে আদি। প্রতিবেশীদের দাবি, এর পর থেকেই মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছিল কাজলের। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, গত কয়েক বছর ধরে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় কাজলের। স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এক প্রতিবেশী পুলিশকে জানিয়েছেন, স্ত্রীকে ফিরে আসতে অনুরোধ করছিলেন কাজল, কিন্তু স্ত্রী ফিরতে রাজি ছিলেন না। এর মধ্যে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর যে কাজ তিনি করতেন সেটাও লকজাউনের মধ্যে খোয়ান তিনি। ফলে সব মিলিয়ে চরম অবসাদে ভুগছিলেন কাজল।
আরও পড়ুন: চিন ঢুকছে, আগেই সাবধান করেছিলেন লাদাখের এই বিজেপি জনপ্রতিনিধি
প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগেও এক বার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন কাজল। সেই সময় তাঁর মা চলে আসায় ব্যর্থ হন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ভারত জানে কী ভাবে জবাব দিতে হয়’, চিনকে কড়া বার্তা ‘মন কি বাতে’
অন্যদিকে এ দিন সকালে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় হরিদেবপুর ধারা পাড়ার বাসিন্দা গোপাল মণ্ডলকে। ৫৯ বছরের গোপালের পরিবারের দাবি, প্রায় ৩৫ বছর আগে একটি দুর্ঘটনার জেরে প্রায়ই তিনি ডানপায়ের প্রবল যন্ত্রণায় ভুগতেন তিনি। শনিবার থেকে সেই ব্যথা ফের চাগাড় দেয়। তাঁর স্ত্রী তাঁকে বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানে জরুরি বিভাগে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরও কোনও চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অস্থি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাঁকে অন্য কোনও হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি কোনও বেসরকারি হাসপাতালে যেতে পারেননি। অন্য সরকারি হাসপাতালে জায়গা পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় থাকায় তিনি বাড়ি ফিরে যান। পরিবারের অভিযোগ, রাতে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অবসাদে আত্মহত্যা করেন গোপাল। পুলিশ পরিবারের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy