বিদ্যাসাগর সেতুর খিদিরপুর র্যাম্প দিয়ে নামার সময়ে লরির পিছন দিক থেকে আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন চালক। লরি থামিয়ে দেখতে পান, ডালার একটি অংশ রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। সেটি তুলে আনতে গাড়ি থেকে নেমেছিলেন খালাসি। সে সময়ে পিছন থেকে আসা একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মেরে পালায়। পুলিশ আহত খালাসিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হল তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে হেস্টিংস থানা এলাকায় বিদ্যাসাগর সেতুর খিদিরপুর র্যাম্পের দিক থেকে নামার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম হরিকিষণ দুসাধ (৬৮)। বাড়ি বিহারের বক্সার জেলায়। কয়েক মাস ধরে লরির চালকের সঙ্গেই হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকার নন্দীবাগানে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন হরি। তাঁর বাড়িতে খবর দিয়েছে পুলিশ। তবে যে লরিটি ধাক্কা দিয়েছে, সেটি এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বন্দর এলাকা থেকে জিনিসপত্র আনতে লরি নিয়ে বেরিয়েছিলেন চালক বিমলেশ ঠাকুর এবং খালাসি হরি। পুলিশের কাছে চালকের দাবি, খিদিরপুর র্যাম্পে ডালা খুলে পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়ে যখন লরি থামান, তত ক্ষণে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলেন। লরির মালিক সন্তোষ ঠাকুর জানিয়েছেন, লরির বাঁ দিক দিয়ে রাস্তায় নেমে যখন সেই ডালাটি তুলতে যান হরি, তখনই ঘটে ওই দুর্ঘটনা। তবে অভিযুক্ত লরিটির নম্বর চালক বিমলেশ দেখতে পাননি বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। হেস্টিংস থানার পুলিশ হরিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশে কোন সিসি ক্যামেরা নেই। তাই অভিযুক্ত লরিটি চিহ্নিত করতে বিদ্যাসাগর সেতুর বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লরিচালক বিমলেশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অবহেলায় মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy