কসবার ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার বিধাননগরের করুণাময়ী মোড়ে জমায়েত হয়ে মিছিল করার পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। কিন্তু এ দিন মিছিল করার চেষ্টা হতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় দলীয় কর্মীদের। এর পরেই বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, অর্চনা মজুমদার, কিশোর কর-সহ দলের কর্মীদের আটক করে বিধাননগর পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৩০ জনকে অতিমারি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও পরে জামিন পান তাঁরা।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ড নিয়ে কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার ডাকে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। সেই মতো এ দিন করুণাময়ী মোড় থেকে মিছিল করে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, কর্মীরা গাড়ি থেকে নামতেই পুলিশ তাঁদের ধরে থানায় নিয়ে যায়।
বিধাননগরের বিজেপি নেতা প্রভাকর মণ্ডল জানান, বিধাননগরের মহকুমা শাসকের কাছে ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ড নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সে বিষয়ে তাঁর কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর আগেই কর্মীদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আরও অভিযোগ, বিজেপি নেতা শমীক ঘটনাস্থলে আসার পরে মিছিল করার চেষ্টা হলে মহিলা পুলিশবাহিনীকে ব্যবহার করে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি নেত্রী অর্চনার সঙ্গেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শমীকের অভিযোগ, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হলফনামা জমা দেওয়ার কর্মসূচিকে যে ভাবে প্রতিহত করা হল, তা নজিরবিহীন।’’ পুলিশের সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেত্রী অর্চনাও।
পুলিশ সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে বিধিনিষেধ চলছে। এই অবস্থায় এই কর্মসূচি পালনের জন্য বিজেপির তরফে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। রাস্তায় নেমে মিছিল করা যাবে না, তা আগেই আবেদনকারীদের জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এ দিন মিছিল করার চেষ্টা হলে আইন মেনে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy