Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশি পুলিশের টাকা ‘চুরি’, ধৃত এক

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার একটি হোটেলে ঘটনাটি ঘটে। বাংলাদেশি ওই পুলিশ অফিসারের নাম মহম্মদ তারিক জুবায়ের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৯ ০১:৫৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশের এক পুলিশ অফিসারের টাকা চুরির অভিযোগ উঠল এক হোটেলকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের করার পরের দিনই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া টাকাও।

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার একটি হোটেলে ঘটনাটি ঘটে। বাংলাদেশি ওই পুলিশ অফিসারের নাম মহম্মদ তারিক জুবায়ের। তিনি অবশ্য মঙ্গলবার দুপুরে পার্ক স্ট্রিট থানায় ওই চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ বুধবার সকালে অভিযুক্ত শেখ ফৈয়াজানুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় চুরির টাকা। ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

মহম্মদ তারিক জুবায়ের বাংলাদেশের পুলিশ অ্যাকাডেমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রবিবার কলকাতায় আসেন তিনি। ওঠেন পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে। অভিযোগ, হোটেলে চেক-ইন করার পরেই তিনি দেখেন, তাঁর সঙ্গে থাকা টাকা ভর্তি একটি প্যাকেট উধাও। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন তিনি স্থানীয় থানায় কোনও অভিযোগ করেননি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই দিনই তিনি চলে যান দিঘায়। সেখান থেকে মঙ্গলবার তিনি শহরে ফিরে পার্ক স্ট্রিট থানায় টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তকারীরা জানান, অভিযোগ মেলার পরেই ওই হোটেলের সিসি ক্যামেরার টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়। তাতে দেখা যায়, অতিথিরা হোটেলে ঢোকার সময়ে টাকার প্যাকেটটি তুলে নিচ্ছে অভিযুক্ত। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে পুরো ঘটনা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত। পরে তাকে জেরা করেই ওই টাকা উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশি ওই পুলিশ অফিসারের চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধার হলেও এখনও কিনারা হয়নি বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন দফতরের ফার্স্ট সেক্রেটারি মহম্মদ মোফাকখারেল ইকবালের ব্যাগ চুরির ঘটনার। গত শনিবার নিউ মার্কেট চত্বরে লিন্ডসে স্ট্রিটের কাছে গাড়ি পার্কিং করে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তিনি ফিরে এসে দেখেন, তাঁর টাকার ব্যাগ উধাও। ওই ব্যাগে কূটনৈতিক পরিচয়পত্র, আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স, তাঁর দেশের পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্কের ভিসা কার্ডও ছিল। পরে তিনি নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখলেও বুধবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

Crime Police Pick Pocketing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy