—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দুই প্রাক্তন ছাত্র এবং এক বর্তমান পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুই প্রাক্তনীকে নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছিল যাদবপুর থানায়।
লালবাজার সূত্রে খবর, যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাঁরা তিন জনেই ওই হস্টেলে থাকতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শুধু তা-ই নয়, গত ৯ অগস্ট, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ২ ব্লকের তিনতলার বারান্দা থেকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া যখন পড়ে গিয়েছিলেন, সেই সময়েও তাঁরা হস্টেলে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর দুই প্রাক্তন ছাত্র কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে ডেকে আনা হয়েছে। বর্তমানে তাঁদের যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। তদন্তকারীদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় ওই তিন জন হস্টেলের কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের ভূমিকা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুতে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ন’জনই পুলিশ হেফাজতে। তাঁদেরকে আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ন’জনের বক্তব্যেই বহু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। ৯ অগস্ট রাতের ঘটনা নিয়ে এক এক জন এক এক রকম কথা বলছেন বলেও দাবি পুলিশের। সত্যের খোঁজেই তাই ধৃতদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে হস্টেলে নিয়ে গিয়ে ঘটনাটির পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সপ্তক কামিল্যাকে নিয়ে আসা হয় যাদবপুর মেন হস্টেলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ৯ অগস্ট রাতে ঠিক কী হয়েছিল, সপ্তককে সঙ্গে নিয়ে তার পুনর্নির্মাণ করায় পুলিশ। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ শুরু হয়ে দুপুর ২টো ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে সেই প্রক্রিয়া। তার পর সপ্তককে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুর থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কে কোথায় ছিলেন? কোন ঘরে ইন্ট্রো নেওয়া হয়েছিল ওই প্রথম বর্ষের ছাত্রের? কোন ঘরেই বা তাঁকে পোশাক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? চিঠি কে লিখেছিলেন? তখন কে কোথায় ছিলেন? এই সব প্রশ্নই আলাদা আলাদা ভাবে জানতে চাওয়া হচ্ছে ধৃত ছাত্র এবং প্রাক্তনীদের থেকে। তার মধ্যেই হস্টেলের আরও তিন আবাসিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy