গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাতের শহরে ফের পুলিশ নিগ্রহের ঘটনা ঘটল শহরে। বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা বাইক ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক সার্জেন্ট। মত্ত আরোহীর কামড়ে রক্তাক্ত হলেন এক সিভিক পুলিশ কর্মীও। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় হাইল্যান্ড পার্কের সামনে সার্ভিস রোডে এই ঘটনা ঘটেছে। রাত ১১টা ৫৮ মিনিট নাগাদ সেখানে নাকা চেকিং চলছিল। সার্জেন্ট সত্যেন্দ্র কাঁওয়র এবং সিভিক পুলিশের কর্মীরা মোতায়েন ছিলেন সেখানে।
সেই সময় দ্রুত গতিতে একটি বাইককে এগিয়ে আসতে দেখেন তাঁরা। কাছে এলে দেখা যায়, ওই বাইকে চার জন বসে রয়েছে। কারও মাথাতেই হেলমেট নেই। তাদের রাস্তা আটকাতেই বিপত্তি বাধে। দু’পক্ষের তর্কাতর্কি শুরু হয়। পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: টাকা নিয়ে চাকরি-চক্রের বলি? আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের জলাশয়ে যুবকের দেহ
ধস্তাধস্তি চলাকালীন সার্জেন্ট সত্যেন্দ্র কাঁওয়রকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন। তার নাম অমিত কবিরাজ। বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুরের বাসিন্দা সে। সার্জেন্টকে ধাক্কাও দেয় সে। থামাতে গেলে সিভিক পুলিশ কর্মী বিজয় ভৌমিকের বাঁ হাতের মধ্যমা কামড়ে ধরে। আঙুল থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে ওই সিভিক পুলিশ কর্মীর, যার পর সিভিক পুলিশের বাকি কর্মীরা মিলে তাকে নিরস্ত করে।
এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ওই সিভিক পুলিশ কর্মী। মোটর ভেহিকল আইনের ১৮৫ (মত্ত অবস্থায় বাইক চালানো), ১২৮ (চালক ছাড়া এক জনের বেশি যাত্রী), ১২৯ (হেলমেট না পরা) এবং ১৭৭ (উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকা) ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে অমিতকে। আটক করা হয়েছে বাকি তিন জনকেও।
বছরের গোড়ায় প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত হেনস্থার ঘটনার পর থেকেই রাতের শহরে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। নাকা চেকিং শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু তা করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে পুলিশকেই।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কিসের কথা! কথা হলে হবে ‘পিওকে’ নিয়ে, বললেন রাজনাথ
এর আগে, গত মাসেই বেপরোয়া বাইক আটকাতে গিয়ে বেকবাগানে নিগৃহীত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। নাকা চেকিং চলাকালীন কলকাতা পুলিশের এক ট্র্যাফিক কনস্টেবলকে রাস্তায় হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে নিয়ে যায় এক ব্যক্তি। তার কয়েক দিন পরেই বেহালার পর্ণশ্রীর কাছে এক ট্যাক্সি চালক এবং দুই যাত্রী মিলে এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে মারধর করে। তার পরই এই ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy