(ফাইল চিত্র)
মাত্র পাঁচ দিনেই নিউ টাউনে রিকশাচালকের মৃত্যু রহস্যের সমাধান করল পুলিশ।
নিউ টাউন থানার পুলিশ জানাচ্ছে, মহম্মদ আখতার নামে ওই রিকশাচালককে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তাঁর পরিবার। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার রাতে বাদশা খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাদশাও রিকশা চালায়।
তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির তেতলা থেকে আখতারকে ঠেলে নীচে ফেলে দিয়েছিল। ধৃত বাদশা খুনের কথা স্বীকার করেছে বলেও দাবি পুলিশের। ধৃতকে শনিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে সাত দিনের জন্য তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত মঙ্গলবার সকালে হাতিয়ারায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির নীচে একটি নালায় রিকশাচালক মহম্মদ আখতারকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর ডান দিকের কপালে ক্ষতচিহ্ন ছিল। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশের অনুমান ছিল উপর থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল আখতারের। তবে তিনি নিজে পড়ে গিয়েছিলেন না কি কেউ তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল তাই নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিশ। বিশেষত যে ভাবে দেহটি নীচে পড়েছিল এবং তাঁর আঘাতের ধরন দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের।
তদন্তে নেমে ওই রিকশাচালকের কয়েক জন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার কিছু দিন আগে বাদশার সঙ্গেই রিকশা স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো নিয়ে বচসা হয়েছিল আখতারের। বাদশা এবং আখতার বন্ধু বলেই জানতে পারে পুলিশ। আখতারের আত্মীয়েরা পুলিশকে জানিয়েছিল, গত সোমবার রাতে আখতার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমে আখতারের পরিবার বিশেষ কিছু বলতে পারেনি। পরে জানিয়েছিল যে, বাদশাই ঘটনার আগের রাতে আখতারকে ডেকে নিয়ে যায়। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে বাদশার কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাতেই পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে বাদশা শুক্রবার রাতে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সব বন্ধুরা মিলে নেশা করছিল সেখানে। এর পরে শত্রুতার বশে বাদশা তাঁকে ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির তেতলা থেকে ঠেলে নীচে ফেলে দেয়। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy