Advertisement
E-Paper

গাফিলতি হলেই সাজা, তটস্থ পুলিশ

লালবাজারের কর্তাদের দাবি, বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বারবারই তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপি। গাফিলতি যে তিনি সহ্য করবেন না, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০২:৪৫
অনুজ শর্মা।—নিজস্ব চিত্র।

অনুজ শর্মা।—নিজস্ব চিত্র।

যেমন কথা, তেমন কাজ।

ভোটের পরে দায়িত্ব নিয়েই বাহিনীর সদস্যদের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। আর সেই মতো কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। যে তালিকায় রয়েছেন সাব ইনস্পেক্টর থেকে থানার ওসি, সকলেই। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন টালিগঞ্জ থানার ওসি। বুধবার দুপুরেই তাঁকে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর) না মানার অভিযোগে গোয়েন্দা বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

লালবাজারের কর্তাদের দাবি, বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বারবারই তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপি। গাফিলতি যে তিনি সহ্য করবেন না, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন। এক কর্তার কথায়, ‘‘রাতের শহরে বেআইনি মোটরবাইক হোক কিংবা চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধ, সব কিছুই সিপি-র নজরে রয়েছে। ফলে পুলিশ দায়িত্ব পালন না করলে তা অনায়াসেই জেনে যাচ্ছেন তিনি।

গত সপ্তাহেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তুষ্ট সিপি বদলি করেছিলেন বেনিয়াপুকুর থানার অফিসারকে। তারও আগে রাতের শহরে এক তরুণী মডেলের গাড়ি ঘিরে শহরের দুই জায়গায় একদল যুবকের তাণ্ডবের ঘটনায় চারু মার্কেট থানার এক এসআই-কে সাসপেন্ড এবং ময়দান থানার এএসআই ও ভবানীপুর থানার এসআই-কে শো-কজ করা হয়েছিল। একটি শিশু চুরির মামলায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল বেনিয়াপুকুরের এক অফিসারকে।

পুলিশকর্তাদের কথায়, গত জুন মাসে এন আর এসে রোগীর পরিবারের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের গণ্ডগোলের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সরানো হয় এলাকার ফাঁড়ির অফিসার ইন-চার্জকে। ওই দিন বদলি করা হয় এন্টালি থানার অতিরিক্ত পুলিশ অফিসারকেও। তিনি চিকিৎসক-নিগ্রহের ঘটনার সময়ে এন্টালি থানার দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ওই দিনই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আরও দুই অফিসারকে। দু’জনের বিরুদ্ধেই দু’টি ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় খুশি ছিলেন না সিপি।

লালবাজারের কর্তারা অবশ্য সরকারি ভাবে জানান, সমস্ত বদলিই রুটিন। এর পিছনে অন্য কারণ নেই। কিন্তু নিচুতলার কর্মী থেকে অফিসারেরা সিপি-র ব্যবস্থা গ্রহণে তটস্থ। আর তা মাথায় রেখেই বেশির ভাগ থানার ওসি পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করছেন। যাতে অনিয়ম কিংবা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ না ওঠে। কারণ, পান থেকে চুন খসলেই জুটবে সাজা!

অন্য দিকে, বুধবার বিকেলে টালিগঞ্জ থানা এলাকার লেক সংলগ্ন শরৎ চ্যাটার্জি রোড ও লেক প্লেসে যান কলকাতার গোয়েন্দা-প্রধান মুরলীধর শর্মা। তিনি সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই এলাকাতেই টালিগঞ্জ-কাণ্ডে ধৃত রণজয় হালদার ও তাঁর বন্ধুরা মদ্যপান করছিলেন রবিবার রাতে। পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে ধরে আনলে অভিযুক্তেরা দলবল নিয়ে থানায় চড়াও হন। পুলিশ জানায়, এ দিন গোয়েন্দা-প্রধানকে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সামনে লেক থাকায় প্রচুর বহিরাগত সেখানে আসেন। মোটরবাইকের উৎপাতে টেকা দায় হয়ে ওঠে। এ ছাড়া, দিন-রাতে সব সময়েই সেখানে নেশাদ্রব্য বিক্রি হয়। তবে পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নেশাদ্রব্যের খোঁজ না পেলেও মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সেখান থেকেই ১৫ জনকে ওই কারণে ধরেছিল।

Lalbazar Kolkata Police Anuj Sharma CP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy