E-Paper

আনন্দপুর কাণ্ডে এ বার ধৃত দম্পতি-সহ তিন জন

পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত বিক্রম দাস আগেই গ্রেফতার হয়েছে। কয়েক কোটি টাকা হাতানোর লক্ষ্যেই ওই অভিযুক্ত এবং ধর্ষণের অভিযোগকারী মহিলাকে নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করেছিল বিক্রম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৬
An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

যৌন নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের এবং দু’জনকে অপহরণের ঘটনায় এক দম্পতি-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল লালবাজার। বৃহস্পতিবার তাদের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণে ব্যবহৃত একটি বিলাসবহুল গাড়ির চাবিও। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বাপি দাস, সুস্মিতা বিশ্বাস ও বিশ্বজিৎ দাস। বাপি এবং সুস্মিতা স্বামী-স্ত্রী। তিন জনেরই বাড়ি বাগদায়। শুক্রবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন জনকেই ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আগেই মূল অভিযুক্ত-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আনন্দপুর এবং নেতাজিনগর থানায় দায়ের হওয়া যৌন নির্যাতন ও পাল্টা অপহরণের এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে লালবাজার। গুন্ডা দমন শাখার এসি-র নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের ওই দলে থাকছেন দু’জন এসি। এ ছাড়াও থাকছেন সাব-ইনস্পেক্টর এবং ইনস্পেক্টরেরা।

গত ৪ ডিসেম্বর রাতে আনন্দপুর থানায় গণধর্ষণের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সম্পর্ক ‘জোড়া’ লাগানোর নাম করে এক তরুণীকে ডেকে এনে গাড়ির ভিতরেই তাঁকে বেহুঁশ করে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বেহালার বাসিন্দা এক যুবক ও তাঁর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত ওই যুবক এবং তাঁর চালককেই উল্টে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছিল নেতাজিনগর থানা এলাকায়। স্থানীয়দের থেকে খোঁজ পেয়ে পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে এবং অপহরণের মামলা রুজু করে। পুলিশ জানায়, ওই দু’জনকে অপহরণ করে আটকে রাখার ঘটনায় জড়িত ছিল ধৃত এই তিন জন। এ ছাড়া, মিথ্যা অভিযোগ জানানোর জন্য অভিযুক্তেরা তিনটি গাড়ি ব্যবহার করেছিল। যার মধ্যে একটির চালক ছিল বিশ্বজিৎ দাস।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিক্রম দাস আগেই গ্রেফতার হয়েছে। কয়েক কোটি টাকা হাতানোর লক্ষ্যেই ওই অভিযুক্ত এবং ধর্ষণের অভিযোগকারী মহিলাকে নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করেছিল বিক্রম।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Anandapur arrest Kidnap police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy