Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Arrest

রেললাইন ধরে ছুট চোরেদের, দৌড়ে ধরে ফেলল পুলিশও

অভিযোগ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মহেশতলা সংলগ্ন আক্রা রেললাইন লাগোয়া ঝুপড়িতে অভিযানে যায় বড়বাজার থানার পুলিশ। সাব-ইনস্পেক্টর প্রীতম তামাং ও সন্দীপ পালের নেতৃত্বে থানার পুলিশকর্মীরা আক্রা রেললাইন লাগোয়া বাড়িগুলি ঘিরে ফেলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৫৪
Share: Save:

ঠিক যেন সিনেমার শুটিং। পুলিশ এসেছে বুঝতে পেরে দেওয়াল থেকে ঝাঁপ দিয়ে রেললাইন ধরে প্রাণপণে ছুটতে শুরু করেছিল দুই দুষ্কৃতী। দক্ষিণ শহরতলির আক্রা রেলগেট লাগোয়া রেললাইন ধরে দুই দুষ্কৃতী দৌড়চ্ছে। তাদের পিছনে ছুটছে পুলিশও। আক্রা রেলগেট লাগোয়া লাইন ধরে শনিবারের সন্ধ্যায় দেখা গেল এমনই ছবি।পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়ার ডবসন রোডের বাসিন্দা প্রকাশচন্দ্র বান্থিয়ার বড়বাজার থানা এলাকার যমুনালাল বজাজ স্ট্রিটে একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। তিনি শনিবার বড়বাজার থানায়ে লিখিত অভিযোগে জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর এক কর্মচারী মারফত তাঁর দোকানে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সামগ্রী পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু উত্তম মাহাতো নামে ওই কর্মী মালপত্র না দেওয়ায় প্রকাশবাবু তার বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় মহেশতলা সংলগ্ন আক্রা রেললাইন লাগোয়া ঝুপড়িতে অভিযানে যায় বড়বাজার থানার পুলিশ। সাব-ইনস্পেক্টর প্রীতম তামাং ও সন্দীপ পালের নেতৃত্বে থানার পুলিশকর্মীরা আক্রা রেললাইন লাগোয়া বাড়িগুলি ঘিরে ফেলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তম এবং শেখ গোরা হালদার নামে আর এক দুষ্কৃতী বাড়ির পাঁচিল থেকে ঝাঁপ দিয়ে রেললাইন বরাবর দৌড়তে থাকে। দুষ্কৃতীদের পিছু নেয় পুলিশ। সাব ইনস্পেক্টর সন্দীপবাবু রেললাইন ধরে প্রায় দু’শো মিটার ছুটে গিয়ে উত্তম এবং গোরাকে ধরে ফেলেন। পুলিশ জানায়, উত্তম ও গোরা সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়ার মূল চক্রী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কাপড়ের ওই সামগ্রী তারা শেখ মনিরুল এবং রফিকুল ইসলাম নামে দু`জনকে বিক্রি করে দিয়েছে।

শনিবার রাতেই তদন্তকারীরা উত্তমকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে মনিরুল ও রফিকুলকে বাড়ি থেকে বার করে। পুলিশের চাপে উত্তম চোরাই মাল নিয়ে এসেছে বলে ওই দুই ব্যক্তিকে জানায়। যার জন্য তাদের বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে বলে উত্তম ও গোরা। পুলিশ জানিয়েছে, মনিরুল এবং রফিকুল বাইরে বেরিয়ে আসতেই পিছনে থাকা বড়বাজার থানার পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও শহর ও শহরতলির একাধিক থানায় প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক চুরি ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE