Advertisement
E-Paper

পরিত্যক্ত বাড়ি ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর, আতঙ্কে থানা

চলতি মরসুমে পোস্তা থানার পুলিশকর্মীরা মশাবাহিত রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। ম্যালেরিয়া, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেক পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০১:১৫
অকুস্থল: পরিত্যক্ত বাড়িতে জমেছে আবর্জনা ও প্লাস্টিক। নিজস্ব চিত্র

অকুস্থল: পরিত্যক্ত বাড়িতে জমেছে আবর্জনা ও প্লাস্টিক। নিজস্ব চিত্র

থানার পাশেই পরিত্যক্ত দোতলা বাড়িতে জমে রয়েছে আবর্জনা, প্লাস্টিক। একটু বৃষ্টিতেই জল জমে মশা জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয় সেখানে। আর সে কারণেই রীতিমতো ডেঙ্গি আতঙ্কে ভুগছেন লাগোয়া পোস্তা থানার কর্মরত পুলিশকর্মীরা।

চলতি মরসুমে পোস্তা থানার পুলিশকর্মীরা মশাবাহিত রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। ম্যালেরিয়া, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেক পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত তিন পুলিশকর্মী বর্তমানে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন ওই পরিত্যক্ত ভবনটি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হওয়াতেই বারবার মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন লাগোয়া থানার পুলিশকর্মীরা।

কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানায় ৬৭/৫০ স্ট্র্যান্ড রোডের ওই পরিত্যক্ত দোতলা বাড়িটি তালাবন্ধ থাকায় সাফাইয়ের কাজ করা যায় না। তাই জল জমে মশার বংশবৃদ্ধি হতে পারে সহজেই। পোস্তা থানার ওসি সরলকুমার মিত্রের অভিযোগ, ‘‘বাড়িটি সাফাইয়ের জন্য আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কলকাতা পুরসভা-সহ স্থানীয় কাউন্সিলরকে চিঠি লিখেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে।’’ সরলবাবুর কথায়, ‘‘মশার আতঙ্কে আমাদের থানা এলাকা নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখি। ফিনাইল দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু পাশের বাড়ি সাফ না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে।’’ জ্বর সারিয়ে সদ্য কাজে যোগ দেওয়া এক সাব-ইনস্পেক্টর বলছেন, ‘‘থানায় এমনিতেই কর্মীর অভাব। লোকবল না থাকায় পুরোপুরি সুস্থ না হয়েও কাজে আসতে হচ্ছে।’’

পরিত্যক্ত বাড়িটি কেন পরিষ্কার করা হচ্ছে না? এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের অভিযোগ, ‘‘বাড়িটায় তালা লাগানো থাকায় আমাদের কর্মীরা ঢুকতে পারে না। আমরা কী করতে পারি!’’ কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষের অভিযোগ, ‘‘শহরে পরিত্যক্ত ভবনগুলি জঞ্জালমুক্ত করতে একাধিক বার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি, নবান্নে মুখ্য সচিবও বৈঠক করেছিলেন। মশা মারতে সকলে মিলে এগিয়ে না এলে মুশকিল। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দল শীঘ্রই এলাকায় গিয়ে কাজ করবে।’’

এ বিষয়ে কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওই বাড়িটিতে কলকাতা বন্দরের কোনও কর্মী থাকেন না। বাইরে থেকে কেউ যদি বাড়ির ভিতরে আবর্জনা ফেলেন, তা হলে কী করব?’’ তবে অভিযোগ পেয়ে বাড়িটি পরিষ্কার করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।

Dengue Mosquito Posta Police Station
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy