সাত বছর আগে কলকাতা বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল তৈরি হওয়ার পর থেকে এত বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিইএসসি-র একটি ৩৩ কেভি লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টা পরেও সংযোগ জোড়া লাগেনি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের যে নিজস্ব সমান্তরাল জেনারেটর ব্যবস্থা রয়েছে, এত দীর্ঘ সময় সেটি আগে একটানা কখনও চলেনি। তাই ওই জেনারেটর ব্যবস্থাও মাঝেমধ্যেই বিগড়েছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে কলকাতা থেকে বেশ কিছু উড়ান ছাড়তেও দেরি হয়েছে। পরিষেবা ঠিক রাখতে অতিরিক্ত লোকবল কাজে লাগিয়ে উড়ান সংস্থাগুলি এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, যখনই জেনারেটর বিগড়েছে, তখনই বন্ধ হয়েছে কনভেয়ার বেল্ট। বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের ব্যাগ বিমান থেকে নামিয়ে ট্রলিতে চাপিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে। সেখান থেকে যাত্রীরা নিজেদের ব্যাগ চিহ্নিত করে বাইরে বেরিয়েছেন। আবার কলকাতার বাইরে যাওয়া যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিমানের পেটে চেক-ইন ব্যাগ যে কনভেয়ার বেল্ট মারফত যাওয়ার কথা, সেটি বন্ধ হওয়ায় তাঁদের ব্যাগ আলাদা ভাবে এক্স-রে করে তার পরে ট্রলিতে চাপিয়ে পাঠাতে হয়েছে। তাতে উড়ান ছাড়তেও দেরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, বিকল্প জেনারেটর চালু রাখতে শুক্রবার সকাল আটটার পর থেকে বেশ কিছু লিফট বন্ধ রাখা হয়। চালু রাখা হয় শুধু উপরে ওঠার এসক্যালেটর। বন্ধ রাখা হয় টার্মিনালের বেশির ভাগ আলোও। বাতানুকূল ব্যবস্থাও অনেক কম ব্যবহার করা হয়।