Advertisement
E-Paper

উৎসবের প্রস্তুতি

এ বার ৪৪ তম বর্ষ। মণ্ডপ হচ্ছে মুরলি বাঁশে। ওই বাঁশেরই কারুকাজে সাজছে মণ্ডপের ভিতর। পরিকল্পনায় পূর্ব মেদিনীপুরের বাপন বারিক। আলো ব্যবহারে ফুটে উঠবে ‘থাউজ্যান্ড ঘর’। প্রতিমা সুকুমার রুদ্রপালের।

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫০
...মেলে সত্য দৃষ্টি তুলির টানে ত্রিনয়ন। ‘চেতলা অগ্রণী’র মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। — সুদীপ্ত ভৌমিক

...মেলে সত্য দৃষ্টি তুলির টানে ত্রিনয়ন। ‘চেতলা অগ্রণী’র মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার। — সুদীপ্ত ভৌমিক

গড়িয়া শ্রীরামপুর কল্যাণ সমিতি

এ বার ৪৪ তম বর্ষ। মণ্ডপ হচ্ছে মুরলি বাঁশে। ওই বাঁশেরই কারুকাজে সাজছে মণ্ডপের ভিতর। পরিকল্পনায় পূর্ব মেদিনীপুরের বাপন বারিক। আলো ব্যবহারে ফুটে উঠবে ‘থাউজ্যান্ড ঘর’। প্রতিমা সুকুমার রুদ্রপালের।

ফুলবাগান আঞ্চলিক সর্বজনীন

আমাদের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সেজে উঠছে থার্মোকল, রঙিন কাপড়ের কারুকাজে। প্রতিমা তৈরি হচ্ছে কৃষ্ণনগর ঘরানার আদলে। সঙ্গে মানানসই আলো সকল দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে।

উদয়ন সঙ্ঘ (বাঘাযতীন)

৬৬তম বর্ষে থিম ছেড়ে সাবেকিয়ানায় ফিরছি আমরা। মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপে থাকছে বেতের নকশার সাজ। নানা দেবদেবীর মডেলও থাকছে। সোনালি রঙের প্রতিমা সাবেক। আলোকসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে বড় ঝাড়বাতি। পুজোর দিনগুলিতে রয়েছে আরতি ও শাঁখ বাজানোর প্রতিযোগিতা।

আজাদগড় সর্বজনীন

৬৬ বছরে পা দিল আমাদের পুজো। এ বার থিম সিঙ্গুর ও কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলন। সুপ্রিম কোর্টের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। বাইরে রয়েছে ধানখেত ও চাষরত কৃষক। দু’সারিতে রয়েছে ৬১টি ছোট ছোট মণ্ডপ। তার মধ্যে ৬১টি রূপে থাকছেন দুর্গা। মূল প্রতিমা সাবেক।

সেবক সঙ্ঘ সর্বজনীন (আজাদগড়)

আমাদের পুজোর এ বার ৩৭তম বর্ষ। থিম ‘সবচেয়ে বড় পেঁচার সাথে/ হিজল দিহির পথে’। মণ্ডপের প্রবেশদ্বারে বিশেষ আকর্ষণ একটি বড় পেঁচা। হিজলদিহি গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি ও হাতের কাজে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। মেঠো পথে হোগলার ছাউনির মাঝে তাঁদের অপরূপ শিল্প মুগ্ধ করবে মানুষকে। সঙ্গে রয়েছে সাবেক প্রতিমা।

হরিদেবপুর আদর্শ সমিতি

৪৮ তম বছরের পুজোয় মণ্ডপ সাজছে কাচ ও পুঁতি দিয়ে। মণ্ডপে থাকছে বাদ্যযন্ত্র এবং নৃত্যের বিভিন্ন আঙ্গিক। মানানসই আলোকসজ্জা।

অজয়নগর সর্বজনীন

৪৯তম বছরে আমাদের থিম ‘সাজের কুলোয় বরণডালি/ অজনগর জমজমাটি’। আমাদের রোজকার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া ঝুড়ি, কুলো, ডালা, পাটি, মাদুর দিয়ে সাজছে মণ্ডপ। ঠাকুরের সাজেও কুলোর ছোঁয়া। আবহে বাজবে লোকসঙ্গীতের সুর।

পূর্বাচল শক্তি সঙ্ঘ

গুটি গুটি পায়ে আট বছরে পা দিল আমাদের পুজো। এ বার থিম ‘সৃষ্টির প্রাণ ঘূর্ণায়ণ’। পৃথিবীতে কিছুই স্থায়ী নয়। তবে ধ্বংসের পরে আসে পরিবর্তন ও উন্নতি। মণ্ডপে তাই উঠে আসছে সমাজ, কলকাতা শহর, পুজোর বিবর্তন। মণ্ডপে আলো ও ইনস্টলেশনের মাধ্যমে এমন পরিবেশ তৈরি করা হবে যেন মনে হবে মণ্ডপটি ঘুরছে। ওড়িশার বালু শিল্পের মাধ্যমে দেখানো হবে সভ্যতার বিবর্তন ভিতরে ধরা থাকবে রাজবাড়ি, বারোয়ারি হয়ে থিম পুজোর কাহিনি।

কালীতলা স্পোর্টিং ক্লাব

এ বার আমাদের প্রচেষ্টা ‘সংকল্প সুন্দর পৃথিবীর জন্য’। শিল্পী মানস ভট্টাচার্যের হাত ধরে পৌঁছে যাব এক সুন্দর পৃথিবীতে। যেখানে সুন্দর মূর্ছনায় থাকবে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, বহু মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় এমন পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু উৎসবের আড়ম্বরে তাঁরাই থাকেন পিছনের সারিতে। আমরা তাঁদের সংকল্পকে কুর্নিশ জানাই। এই দু’টি দিকই আমাদের মণ্ডপে তুলে ধরার চেষ্টা থাকবে। প্রতিমা থিমের সঙ্গে মানানসই।

সুবর্ণজয়ন্তী সম্মিলনী (রাজডাঙা মেন রোড)

সম্পূর্ণ ভাবে মহিলা পরিচালিত পুজো এ বার ১৭ বছরে পড়ল। আন্তরিকতার ছোঁয়ায় সেজে উঠছে আমাদের মণ্ডপ ও প্রতিমা। মণ্ডপের আবহে আলাদা মাত্রা যোগ করবে স্তোত্রপাঠ। চতুর্থীতে পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। দশমী ও তার পরের দিন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।

বোসপুকুর প্রান্তিক পল্লি আমাদের এ বারের থিম ‘এগিয়ে বাংলা’। আর তাই বাংলার চিরায়ত ও লোকশিল্পে সেজে উঠছে আমাদের মণ্ডপ। ডোকরা, টেরাকোটা, নক্‌শিকাঁথা মিলিয়ে মণ্ডপ সাজাচ্ছেন সুমন মণ্ডল। সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা। উদ্বোধনে বৃক্ষরোপণ করা হবে। প্রবীণদের সংবর্ধনা, দুঃস্থ শিশুদের নতুন জামা ও মেধাবী দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে সমাজের পাশে থাকব আমরা।

পণ্ডিতিয়া সন্ধ্যা সঙ্ঘ

আমাদের পুজো এ বার ৬৩তম বর্ষে পদার্পণ করল। ‘হেই মা তু আয় না’— এই ভাবনা থেকে মণ্ডপ সেজে উঠছে বাঁশ, ঘাস ও খড়ের নানা মূর্তিতে। থাকছে রং, কাপড়, জরি, ঝালরের ব্যবহার। সাবেক প্রতিমার পাশাপাশি থাকছে বিশেষ আলোর কাজ।

মহাজাতি কল্যাণ সমিতি (রুবি পার্ক)

৬৫ বছরে আমাদের মণ্ডপ সাজছে পুরনো রাজবাড়ির আদলে। কার্নিসে থাকছে থার্মোকলের কাজ। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে কাচ, শামুক, ঝিনুক। প্রতিমা থাকছে সাবেক রূপে। সপ্তমী থেকে নবমী থাকছে বিশেষ ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা।

পূর্বালোক সর্বজনীন (ই এম বাইপাস)

২২তম বছরে পা দিল আমাদের পুজো। শ্রীলঙ্কার এক উপজাতির জীবনযাত্রা তুলে আনছি মণ্ডপে। আঠেরো শতকে নানা রকম মুখোশ পরে নাচের মাধ্যমে রোগ সারানোর প্রথা ছিল এই উপজাতির মধ্যে। তেমনই প্রায় সাড়ে তিনশো মুখোশে সেজে উঠছে মণ্ডপ। রয়েছে সাপ, পাখি, রাক্ষসের মুখোশও। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কার হাতি, মাছ ধরার নৌকার ইনস্টলেশনও থাকছে পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে। থিমের সঙ্গে মানানসই রূপে থাকছেন মা। পুজোর দিনগুলোয় রয়েছে ভোগ বিতরণ ও বসে খাওয়ার ব্যবস্থা। এ ছাড়া বিশেষ আকর্ষণ তিনটি বাংলা ব্যান্ডের অনুষ্ঠান।

নস্করপুর সর্বজনীন

প্রতি বছরের মতো ৫৬তম বর্ষেও মণ্ডপে লোকশিল্পের প্রচার তথা প্রসার আমাদের লক্ষ্য। বর্ধমানের অগ্রদ্বীপ, মেদিনীপুরের পিংলা, নয়াগ্রামের মানুষদের আমরা মণ্ডপে হাজির করছি। এঁদের ভেষজ রং, তুলির টানে বাঁশের উপর ফুটে ওঠে অনবদ্য শিল্প। ঋজু বাঁশ যেন প্রাণ পায় তাঁদের হাতে। চিত্রে ফুটে ওঠে অত্যাচারীর আসুরিক রূপ। মায়ের শক্তির কাছে যা মাথা নত করতে বাধ্য হয়। এই কাজেই সেজে উঠেছে মণ্ডপ। দশ অসুরের অবয়ব মা দশ হাতে বিনাশ করবেন। মৃন্ময়ী মায়ের অলঙ্কার তৈরি হয়েছে জরি দিয়ে।

ভবানীপুর সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভা

আমাদের পুজোর এ বার ১০৭তম বর্ষ। ঘরোয়া পরিবেশে সাবেক রীতি মেনে পুজো সম্পন্ন হয়। মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপ সাজাতে ব্যবহার করা হচ্ছে বোতাম, ফলের দানা ও শোলা। সোনালি সাজের একচালা সাবেক প্রতিমা। কুমারী পূজা ছাড়াও বহু প্রাচীন একটি রীতি হল দশমীর সকালে অপরাজিতা পূজা। দশমীর দিন বিশেষ পান্তা ভোগ হয় আমাদের পুজোয়। এ ছাড়া শিল্পীরা মণ্ডপে বসে সানাই বাজান।

ভবানীপুর ৭৫ পল্লি

৫২তম বর্ষে আমাদের নিবেদন ‘ভবানীপুরে আরশিনগর’। শিল্পী বিমান সাহা হাতি, ঘোড়া, মানুষের প্রতিকৃতির উপরে বিভিন্ন আয়না কেটে তার রূপ দিয়েছেন। থাকছে রাজস্থান, ওড়িশা ও গুজরাতের রঙিন কাচশিল্পের বাহার। ঘোটকে দেবীর আগমন ও বিসর্জনের ভাবনা থেকে মণ্ডপের প্রবেশপথে থাকছে ১৫ ফুট উচ্চতার দু’টি ঘোড়ার ইনস্টলেশন। শিল্পী পরিমল পালের তৈরি প্রতিমা ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তৈরি হলেও থাকছে সাবেক আদল। মানানসই আবহসঙ্গীতের পাশাপাশি মণ্ডপ চত্বরে থাকবে সেন্ট টেরেসার মূর্তি।

কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ

এ বারের থিম, ‘দেবী— ঘরে বাইরে’। যাঁরা ঘরে বাইরে দু’দিকেই সমান সামলে এগিয়ে চলেছেন। তাঁরাই বাস্তবের দেবী। তাঁদের উপস্থিতি সমাজগঠনের চালিকাশক্তি। এ বারের পুজোয় তাঁরাই আমাদের স্মরণে। আন্তরিক এই পুজোয় মা আক্ষরিক অর্থে আমাদের ঘরের মেয়ে।

গোল্ডেন অ্যারো ক্লাব এ বারের থিম, গোপাল ভাঁড়। জীবনের ইঁদুর দৌড়ে হারিয়েছে খুশি। এখানে এলে মেতে উঠবে শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই। গোপাল ভাঁড়ের বিভিন্ন গল্পে সাজছে মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা করছেন কালাচাঁদ রুদ্রপাল।

খিদিরপুর মিলন সঙ্ঘ

৭৭তমে বর্ষের থিম ‘শক্তিরূপেণ সংস্থিতা’। সঞ্জয় দাসের ভাবনায় ফুটে উঠেছে সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা। মণ্ডপের বাইরে থাকবে শিবলিঙ্গ যা দুর্গা ও শিবের মিলিত রূপ। তা থেকে দু’টি হাত বেরিয়ে বধ করছে মহিষকে। শাঁখা-পলা দিয়ে সেজেছে মণ্ডপের ছাদ। সাযুজ্য রেখে প্রতিমা হচ্ছে।

খিদিরপুর নবরাগ

৪৭তম বছরের থিম ‘ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন’। মণ্ডপ নাটমন্দিরের আদলে। রাস্তার দু’ধারে ছবি ও মডেলের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে সমসাময়িক জীবনের নানা দিক। থাকছে স্পট লাইটিং-এর ব্যবস্থা। ঠাকুরের সাবেক টানা চোখের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া মিলবে পোশাক ও সাজে।

৭৪ পল্লি

৬১তম বছরে আমাদের থিম ‘মোলেলার খোজেঁ’। দক্ষিণ রাজস্থানের একটি ছোট গ্রাম মোলেলা। সেখানে কৃষ্ণ পূজিত হন শ্রীনাথজি রূপে। গ্রামবাসী টেরাকোটা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। যা বাংলার টেরাকোটা থেকে আলাদা। আমাদের উদ্দেশ্য এই শিল্পের সঙ্গে মানুষের পরিচয় করানো। স্বরূপ দত্তের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০০ মোলেলা টেরাকোটার মূর্তি দিয়ে সাজছে মণ্ডপ। মণ্ডপসজ্জায় সরার ব্যবহার লক্ষণীয়। প্রতিমা কৃষ্ণনগরের।

বড়িশা তরুণ তীর্থ

৩২তম বর্ষে আমাদের থিম ‘জগৎ-ধাত্রী’। আগ্রাসনের কারণে নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে বনজঙ্গল। সুদীপ্ত ঘোষের ভাবনায় হচ্ছে মণ্ডপ। প্রবেশপথে থাকবে বিশালাকায় মৌমাছির ইনস্টলেশন। ভিতরে মৌচাক, মৌমাছি ও ফুলের সাজ। মায়ের হাতে কোনও অস্ত্র নেই। তিনি আশীর্বাদ দিচ্ছেন সকলকে। সঙ্গে রয়েছে ঘোড়ামুখো দু’টি সিংহ।

বড়িশা উদয়ন পল্লি

৪৯তম বর্ষে থিম ‘পুষ্পবৃষ্টি’। শিউলি ফুল দুর্গাপূজার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অভিনব উপস্থাপনায় মণ্ডপে শিউলির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। গোলাকার মণ্ডপ। প্রবেশ করেই মিলবে অসংখ্য ফুলের এই ইনস্টলেশন। যা দেখে মনে হবে, দেবীর আহ্বানে আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে ফুলের এই বৃষ্টি। সাবেক ঠাকুরের সাজেও থাকবে ফুলের ছোঁয়া।

বড়িশা ইয়ুথ ক্লাব

৩৮তম বর্ষে আমাদের থিম ‘খেলনাগাড়ি—আজ ভাব কাল আড়ি’। ছোটবেলার পরিবেশবান্ধব খেলনাগুলি আজ হারিয়ে গিয়েছে। মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে খেলনার আদলে। ভিতরে থাকছে হারানো খেলনা ও রঙের খেলা। রয়েছে পরিবেশ বাঁচানোর বার্তাও। প্রতিমা বাঁশের পুতুলের আদলে।

স্টেট ব্যাঙ্ক পার্ক সর্বজনীন

৪৬তম বছরে আমাদের থিম ভার বহন করার ‘বাঁক’। ভবতোষ সুতারের ভাবনায় ধরা পড়েছে সভ্যতায় শ্রমিকদের অবদান। মণ্ডপে থাকছে লোহার তৈরি শিরদাঁড়ার আদলে বাঁক। সঙ্গে হাতে বোনা পাঁজর। মা থাকছেন সাধারণ নারী রূপে।

ঠাকুরপুকুর ক্লাব

৬৭তম বর্ষে আমাদের ভাবনা ‘বাংলার পল্লিগাথা/ বঙ্গনারীর ব্রতকথা’। গোটা বাংলার আনাচে-কানাচে বাঙালী রমণীদের মধ্যে যে সব ব্রতকথা প্রচলিত, সেগুলি তুলে ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। কমলদীপ ধরের ভাবনায় মণ্ডপ সেজে উঠছে শোলা শিল্পের মাধ্যমে। ।

বেহালা বুড়োশিবতলা জনকল্যাণ সঙ্ঘ

এ বার আমাদের থিম ‘শান্তি’। আমাদের মণ্ডপে দেখা যাবে মানুষের উপর ষড়রিপুর প্রভাব। ধ্যানমগ্ন তথাগতের মাথার উপরে তাঁর বাণী দিয়ে সৃষ্টি হবে বোধিবৃক্ষের ডাল। মণ্ডপটি মৌচাকের আদলে। অস্ত্রবিহীন মাতৃমূর্তি।

বড়িশা নেতাজি সঙ্ঘ

‘বর্ষচক্র শান্তির স্থল/ বিষ্ণুপদীর সঙ্গমস্থল’, এটাই ৪১তম বর্ষের পুজোর থিম। ভগীরথের গঙ্গাকে মর্তে আনার কাহিনি প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে দেখানো হচ্ছে মণ্ডপে। বাইরে থাকছে শিবের মূর্তি। তাঁর জটা থেকে বইছে গঙ্গা। মায়ের রূপ এখানে শান্ত।

নন্দনা যুব সঙ্ঘ

৬০তম বছরে আমাদের থিম ‘ভুবনেশ্বরী’। আমাদের মণ্ডপ সেজে উঠছে বিষ্ণুপুরের ‘দশাবতার তাস দিয়ে’। মণ্ডপে রয়েছে একটি অর্ধেক নিমজ্জিত নৌকার ইনস্টলেশন। জয় সরকারের আবহসঙ্গীত।

রায়বাহাদুর রোড নেতাজি স্পোর্টিং

৫৯তম বর্ষে থিম ‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি; নিয়ে যাবি কে আমারে’। আমরা বন্দি আমাদের মনের ঘরে। ঘরের উপরে মুক্ত আকাশ। তাই মণ্ডপে রয়েছে অজস্র দরজা যা মুক্তির প্রতীক। রয়েছে নানা আকারের অসংখ্য তালা-চাবি। এমনকী চাবি দিয়ে তৈরি একটি ঝাড়ও। প্রতিমা ভাসমান। মা স্বর্গ থেকে নেমে আসছেন মুক্তির পথ দেখাতে।

সাহাপুর সর্বজনীন

আমাদের পুজো এ বার ৬৮ বছরে পা দিল। থিম ‘মায়াজালে মাতৃময়ী মা’। মণ্ডপের প্রবেশপথ তৈরি হয়েছে বিশালাকায় পদ্মের আদলে। মণ্ডপটিও যেন একটি ফোটা পদ্ম। স্বপন সরকারের ভাবনায় মণ্ডপের রয়েছে অসংখ্য চোখ। যা দিয়ে আলো বেরিয়ে আসবে। থিমের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা।

কুঁদঘাট কল্লোল আবাসন

আমাদের আবাসনের পুজোয় মেলে ঘরোয়া পরিবেশ। মহিলারাই মূলত সব কাজ করেন। এ বার মণ্ডপ সাজাতে ব্যবহার করা হচ্ছে শোলা ও কুলো। প্রতিমা সাবেক। পুজোর এ বার ১৬তম বর্ষ। ছোটরা নিজেদের ইচ্ছে মতো নানা অনুষ্ঠান করে। কবিতা-গানের আসরে যোগ দেন বড়রাও। চার দিনই থাকে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন।

দক্ষিণ শহরতলি

গড়িয়া আমরা ক’জন ক্লাব

দাবার আবিষ্কার ভারতে। সেই খেলা নিয়ে ছোটদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতে এ বার আমাদের থিম ‘কিস্তিমাত’। মণ্ডপ, প্রতিমা আলোকসজ্জা— সব কিছুর মধ্যেই তাই ফুটে উঠবে দাবা খেলা সংক্রান্ত পরিবেশ।

গড়িয়া লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনি সংগঠনী সঙ্ঘ

থিম রঙে-বাঁশে জাল বোনা। নানা ধরনের বাঁশ দিয়ে নাগাল্যান্ডের একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। প্রতিমা সাবেক।

সোনারপুর কোদালিয়া দাসপাড়া মিতালি সঙ্ঘ

প্লাইউড দিয়ে যুদ্ধজাহাজের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। পাটকাঠির প্রতিমা।

সোনাপুর নবারুণ সঙ্ঘ

আমাদের পুজোয় এলে দর্শকেরা পৌঁছে যাবেন ঘুড়ি-লাটাইয়ের আজব দেশে। মণ্ডপ সাজছে কয়েকশো ঘুড়ি ও লাটাই দিয়ে। থিমের ছোঁয়া থাকলেও প্রতিমা সাবেক।

বজবজ কালীনগর দুর্গাপূজা কমিটি

প্লাস্টিকের বহুল ব্যবহারে এখন প্রায় বিলুপ্ত হোগলা পাতা। সেই শিল্পকেই আমরা এ বার ফিরিয়ে আনছি। গোটা মণ্ডপ সাজছে হোগলা পাতা দিয়ে। দেবীর এখানে বরাভয় রূপ। তিনি শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতীক।

বারুইপুর ফুলতলা দুর্গাপুজো কমিটি

প্লাস্টিকের নানা মাপের বোতল এবং ছিপি দিয়ে মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। এক চিত্রশিল্পীর ভাবনায় মায়ের মূর্তি।

পশ্চিম পুঁটিয়ারি উন্নয়নী সঙ্ঘ

এ বার থিম ‘সবুজায়ন’। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা— সব কিছুতেই ফুটে উঠবে সবুজায়নের বিভিন্ন দিক।

পুঁটিয়ারি সর্বজনীন

নানা মূর্ত- বিমূর্ত রূপকে সৃষ্টিকল্পের চিত্রায়নের মাধ্যমে সেজে উঠছে মণ্ডপ ও প্রতিমা।

কেন্দুয়া শান্তি সঙ্ঘ

এ বার আমাদের থিম ‘অগ্নিকন্যা’। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সব বাধা-বিপত্তিকে জয় করে যে ভাবে মেয়েরা উঠে আসছেন, মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরা হয়েছে সেই কাহিনিই।

সোনারপুর রিক্রিয়েশন ক্লাব

প্রতিমায় ফুটে উঠেছে নারী শক্তির নানা রূপ।

বাটা নিউল্যান্ড পূজা কমিটি

ফাইবার ও মার্বেল দিয়ে রাজস্থানের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ।

Durga puja
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy