দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তথা জেল হেফাজতে থাকা ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্রের আইনজীবী শনিবার আদালতে দাবি করেছেন, সবটা নির্যাতিতার সম্মতিতেই হয়েছিল। তাঁদের যুক্তি, ঘটনার দিন স্বেচ্ছায় মনোজিতের কাছে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাঁরা একসঙ্গে বসে খাওয়া সারেন। তার পরে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী। এ দিন আলিপুর জেলা বিচারকের আদালতে এই মামলায় মনোজিতের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়।
মনোজিতের আইনজীবীরা দাবি করেন, ‘‘ঘটনার সময়ে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এ বার মনোজিতের জামিনও মঞ্জুর হোক। মামলার চার্জশিট জমা পড়েছে। ৮২ দিন জেল হেফাজতে আছেন অভিযুক্ত।’’ কসবা থানার পুরনো একটি মামলার কথা উল্লেখ করে মনোজিতের আইনজীবী বলেন, ‘‘আগেও এ রকম একটি ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী। আলোচনার পরে তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করেছিলেন।’’
এ দিন জামিনের বিরোধিতা করে নির্যাতিতার আইনজীবীরা বলেন, ‘‘পুরনো মামলার সঙ্গে এই মামলার যোগ নেই। এই মামলায় অসহায় এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।’’ এর পরে নির্যাতিতার আইনজীবীদের তরফে গোপন জবানবন্দির বয়ান বিচারকের কাছে পেশ করে তাঁরা বলেন, ‘‘সেই রাতে এক অসহায় তরুণীর উপরে কী ভয়ঙ্কর অত্যাচার হয়েছিল, গোপন জবানবন্দিতে তিনি সেই বিবরণ দিয়েছেন।’’
সরকারি আইনজীবীও জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতে একাধিক বার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। মনোজিৎকে মূল অভিযুক্ত ধরে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হয়েছে।’’ সরকারি আইনজীবী আদালতে ওই ঘটনায় নির্যাতিতা এবং মনোজিতের দেহের ক্ষতচিহ্নের মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করে বিচারককে তা পর্যবেক্ষণ করার আবেদন জানান। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গেই জেল হেফাজতে রয়েছেন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ এবং ওই আইন কলেজের পড়ুয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)