পথের দাবি: কফি হাউসে গেরুয়া তাণ্ডবের প্রতিবাদে মিছিল। মঙ্গলবার, কলেজ স্ট্রিটে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
‘নো ভোট টু বিজেপি’ লেখা পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস। ‘মোদীপাড়া’ লেখা গেঞ্জি পরে কফি হাউসের ভিতরে ঢুকে
স্লোগান দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ‘নো ভোট টু বিজেপি’ পোস্টারে কালি দিয়ে দেওয়া হয়। সোমবারের ওই ‘তাণ্ডবের’ প্রতিবাদে মঙ্গলবার পথে নামলেন বিশিষ্টজনদের একাংশ। ওই ঘটনার নিন্দায় সরব হলেন তাঁরা।
এ দিন কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের সামনেই প্রতিবাদ-কর্মসূচি পালিত হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন সুজাত ভদ্র-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। প্রতিবাদসভা শেষে মিছিল বেরোয় কলেজ স্ট্রিট চত্বরে। সোমবার ‘নো ভোট টু বিজেপি’ লেখা পোস্টারের ‘নো’ অংশটিতে কালো কালি দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন তার পাল্টা আবার পোস্টার লাগানো হয় তার উপরেই।
সোমবারের ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন দুপুর ২টো থেকে পাল্টা
কর্মসূচি শুরু হয়। ওই দিনের ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছিল প্রচার ও প্রতিবাদ। এ দিন দুপুর ২টো থেকে কফি হাউসের সামনে জড়ো হতে থাকেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও প্রতিবাদে শামিল হন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন পার্ক সার্কাসের এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনের কয়েক জনও।
প্রতিবাদসভার শুরু থেকেই বিজেপি এবং আরএসএস-বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। এ ছাড়া, কফি হাউসের বাইরে নতুন করে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ পোস্টার লাগানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে প্রতিবাদ। প্রতিবাদসভা থেকেই ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এ দিন ওই সভায় বক্তৃতা দেন সুজাত ভদ্র-সহ অনেকেই। প্রত্যেকেই এই ঘটনার নিন্দা করেন।
সুজাতবাবু বলেন, ‘‘আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়াটাই একটা অপরাধ। এবং তার জন্য লোককে উস্কানি দেওয়াটা আরও বেশি অপরাধ। কফি হাউসের
উপরে এই আক্রমণ হিটলারের জমানাকেও হার মানায়। ওদের হুমকির বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি, অহিংস ভাবেই আমরা ওদের মোকাবিলা করব।’’
কফি হাউস পরিচালন সমিতির সাধারণ সম্পাদক তপনকুমার পাহাড়ী বলেন, ‘‘২৬ বছর ধরে আমি কফি হাউসের সঙ্গে যুক্ত। কোনও দিন আমরা এ রকম ঘটনা দেখিনি। এই ঘটনা কফি হাউসের ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ণ করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy