Advertisement
E-Paper

সিজিওতে সন্দীপ, নির্ধারিত সময়ের আগেই সিবিআই দফতরে আরজি করের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ

শুক্রবার এবং শনিবার টানা জেরা করা হয়েছিল সন্দীপকে। তার পর রবিবারও তাঁকে আবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১০:৪৭
R G Kar Medical colleges former principal Sandip Ghosh reached CGO complex

সন্দীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

পর পর তিন দিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শুক্রবার এবং শনিবার টানা জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। তার পর রবিবার তাঁকে আবারও সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রবিবার, সওয়া ১০টা নাগাদ তিনি বেলেঘাটায় নিজের বাড়ি থেকে বার হন। তবে ১১টা বাজার অন্তত ২০ মিনিট আগে সিজিও পৌঁছন সন্দীপ।

শুক্রবার বিকেলে সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন সন্দীপ। প্রায় ১০ ঘণ্টা টানা তাঁকে সিজিওতে জেরা করা হয়। মাঝরাতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তার পর শনিবার আবারও সকাল ১০টা নাগাদ সিজিওতে হাজিরা দিয়েছিলেন সন্দীপ। তদন্তকারীদের একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতেই তাঁকে জেরা করা হয়।

শনিবার সন্দীপকে ১৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। শনিবার তাঁকে বেশ কিছু নথি নিয়ে সিজিওতে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। রবিবারও তাঁর হাতে ছিল কিছু ফাইল। মনে করা হচ্ছে, সিবিআইয়ের চাওয়া কোনও নথি নিয়েই তিনি হাজিরা দিয়েছেন। তবে কী নথি, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল ৩টের পর সিবিআইয়ের গাড়িতে চেপে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেছিলেন সন্দীপ। শুক্রবারই আদালতে সন্দীপের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সিবিআই তলবে হাজিরা দিতে চান সন্দীপ। কিন্তু তিনি নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। এর পর সিবিআই গাড়িতে করে তাঁকে দফতরে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ি ফিরলেও তাঁকে ফের শনিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে হয়। শনিবার সিজিওতে ঢোকার মুখে সন্দীপ বলেছিলেন, ‘‘আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি। দয়া করে প্রচার করবেন না যে, আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ তবে রবিবার সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে চুপই ছিলেন সন্দীপ। বাড়ি থেকে বার হওয়ার সময় কারও কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই গাড়িতে ওঠেন তিনি। এমনকি, সিজিওতে নেমে হনহন করে ভেততে ঢুকে যান আরজি করের সদ্যপ্রাক্তন অধ্যক্ষ।

আরজি করে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরেই সন্দীপের নাম প্রকাশ্যে আসে। চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, সন্দীপ অত্যন্ত ‘প্রভাবশালী’। এই তদন্ত প্রক্রিয়াকেও তিনি প্রভাবিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছিল আরজি কর থেকে। এর মাঝে গত সোমবার সন্দীপ সংবাদমাধ্যমের সামনে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমাও দেন। আরজি করের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকের পদ ছেড়ে দেন সন্দীপ।

R G kar Incident Sandip Ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy