E-Paper

বিধাননগরে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে প্রশ্নে প্রশাসনের ভূমিকা

বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশবান্ধব বিকল্পের সন্ধান চলছে। তা সামনে এলে প্লাস্টিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ০৯:৪৭
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বাজার, দোকান, সামাজিক অনুষ্ঠান— সর্বত্র প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে। এমন ছবি কলকাতার মতোই বিধাননগর পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে দেখা যাচ্ছে। প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে সরকারি সচেতনতা কর্মসূচি বা নজরদারি আখেরে যে কোনও কাজেই আসছে না, এ সবেই সেটা স্পষ্ট। যদিও পুরসভার দাবি, সচেতন করার কাজ চলছে। পর্যাপ্ত সাড়া মেলেনি। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের কাছে বিকল্প কোথায়? আর সেটা না থাকলে তো প্লাস্টিকের ব্যবহার কোনও ভাবেই কমবে না।

বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশবান্ধব বিকল্পের সন্ধান চলছে। তা সামনে এলে প্লাস্টিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে। অথচ, দু’দশকেরও বেশি আগে দক্ষিণ দমদমের বাঙুর এলাকা প্লাস্টিকমুক্ত হয়ে পথ দেখিয়েছিল। সেখানে কোনও বিকল্প না থাকলেও প্লাস্টিক ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বাসিন্দারা। তবে সেই পথ অনুসরণ করতে পারেননি অনেকেই। বিধাননগরও তেমনই।

নালা পরিষ্কার করতে গিয়ে মেলে প্লাস্টিক। আবর্জনার মধ্যে অহরহ দেখা যায় প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকজাত সামগ্রী পড়ে রয়েছে। প্রশাসনের একাংশের কথায়, ওই সবের মধ্যে বর্ষার জল জমলে মশার বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁদের একাংশের যেমন সচেতনতার অভাব রয়েছে, তেমনই পুর প্রশাসনের তরফেও নজরদারি ও কড়া পদক্ষেপের ক্ষেত্রে অবহেলার অভাব দেখা যায়।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দোপাধ্যায় জানান, পড়ে থাকা প্লাস্টিকে জল জমলে, তা মশার বংশবৃদ্ধির অনুকূল। বার বার সচেতন করা হলেও অনেকেই সাড়া দেন না। যদিও বিরোধীদের মতে, শুধু কিছু ব্যানার, ফ্লেক্সে সচেতনতার বার্তা বা বছরের নির্দিষ্ট সময়ের কিছু কর্মসূচির উপরে ভর করে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বছরভর সেই চেষ্টা থাকলে তবেই প্রতিফলন সম্ভব। রাজারহাট-গোপালপুরের এক বাসিন্দা তমাল দাসের কথায়, ‘‘প্রশাসনিক সদিচ্ছা থাকলে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমতে বাধ্য।’’

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি মণ্ডল জানান, এই পুর এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যবহারে রাশ টানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। একই সঙ্গে, পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারের ভাবনা চলছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bidhannagar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy