কসবার আইন কলেজ খুলছে আজ, সোমবার। কিন্তু, কলেজের দরজা খুললেও সেখানে মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়, এমন কোনও ব্যবস্থা কি হয়েছে? রবিবার ওই আইন কলেজের সামনে প্রতিবাদসভায় এই প্রশ্নই তুললেন আর জি করের ঘটনার পরে গঠিত রাতদখল (নারী–ট্রান্স-ক্যুইয়ার) ঐক্য মঞ্চের সদস্যেরা।
তাঁদের অভিযোগ, শুধু কসবার আইন কলেজই নয়, রাজ্য জুড়ে সব কলেজেই শাসকদলের মদতপুষ্টেরা এমন তাণ্ডব চালাচ্ছে। কসবা-কাণ্ডের জেরে এক জন ধর্ষক হয়তো ধরা পড়েছে, কিন্তু অনেকেই পার পেয়ে যাচ্ছে। এক আন্দোলনকারী শতাব্দী দাস বলেন, ‘‘বিশাখা নির্দেশিকা অনুযায়ী, কলেজগুলিতে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (আইসিসি) হয়তো আছে। কিন্তু মেয়েরা বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা কি সেখানে ভয়ডরহীন ভাবে অভিযোগ জানাতে পারেন? সেখানে তো শাসকদলের লোকেরাই সদস্য হয়ে বসে রয়েছেন। আমাদের দাবি, আইসিসি-কে সক্রিয় থাকতে হবে এবং আইসিসিতে কারা থাকবেন, সেটা স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন হতে হবে।’’
এ দিনের প্রতিবাদসভায় উপস্থিত রাতদখলের কর্মীরা অভিযোগ করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ধর্ষণের মতো ঘটনা বা মেয়েদের যৌন হেনস্থা করার মতো ঘটনা বেশির ভাগই প্রকাশ্যে আসে না। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে শাসকদল। প্রতিটি ঘটনা বাইরে আসার মতো পরিবেশও কলেজগুলিতে নেই। এই পরিবেশের বদল ঘটাতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের মতে, কলেজে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগেও যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।
এ দিনের বিক্ষোভ-সভায় এক পুলিশকর্মীকে ফুল দিতে দেখা যায় শমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বিক্ষোভকারী মহিলাকে। শমিতা বলেন, ‘‘ফুল দিয়ে আমরা তাঁকে এই বার্তা দিলাম যে, তাঁরাও এই সমাজেরই অঙ্গ। আমাদের সংঘাত পুলিশের সঙ্গে নয়, পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)