প্রশিক্ষণ: চলছে আত্মরক্ষার পাঠ। গার্ডেনরিচ নুটবিহারী দাস গার্লস হাইস্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।
ছাত্রীদের আত্মরক্ষার জন্য কয়েক বছর আগে মেয়েদের এবং সহশিক্ষার স্কুলগুলিতে চালু হয়েছিল আত্মরক্ষার পাঠ। শারীরচর্চার পাশাপাশি ক্যারাটের প্রশিক্ষণও চলে স্কুলগুলিতে। সারা বছর স্কুলের সেই সব তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে ছাত্রীদের মধ্যে ‘সেল্ফ ডিফেন্স’ প্রকল্পের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে ছাত্রীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে বলে দাবি স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তাদের। তাই আত্মরক্ষার জন্য আরও কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়ার ভাবনা দফতরের।
বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, কয়েক বছর আগে রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের অধীনে এই রাজ্যের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রায় ৫৪৩টি স্কুলের প্রায় ২৫০টি মেয়েদের এবং সহশিক্ষার স্কুলে ‘সেল্ফ ডিফেন্স’ চালুর জন্য উদ্যোগী হয় স্কুল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের ক্যারাটে, তাইকোন্ডোর প্রশিক্ষণ চালু হয়। গোটা বছর ধরেই কোন স্কুলে কী ভাবে প্রকল্পটি রূপায়িত করছে সেই বিষয়ে নজর রাখে জেলা প্রকল্প আধিকারিকের দফতর। বছরের শেষে পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনই আত্মবিশ্বাসী হয়েছে ছাত্রীরা। তাই ওই প্রশিক্ষণের তালিকায় অন্য কিছু রাখা যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে প্রতিটি স্কুলে নিরাপত্তার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। কিন্তু ছাত্রীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ জরুরি মনে হওয়ায় এই বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। সারা বছরই স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রশিক্ষণের ছবি ও ভিডিয়ো তুলে জেলাপ্রকল্প আধিকারিকের দফতরে পাঠাতে হয়। এক কর্তা জানান, সেই ছবি দেখেই বোঝা গিয়েছে, ছাত্রীরা সক্রিয় ও উৎসাহী হয়েছে।
তিনি জানান, সারা বছর ধরে এটা লক্ষ্য রাখতে হয়, ছাত্রীরা ওই প্রশিক্ষণে যোগ দিচ্ছে কি না, বা প্রশিক্ষণের ফলে আদৌ কোনও উন্নতি হচ্ছে কি না। পাশাপাশি নিচু ক্লাসের ছাত্রীরাও এই প্রশিক্ষণের আওতায় আসতে চাইছে।
গার্ডেনরিচ নুটবিহারী দাস গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ছাত্রীদের মধ্যে এটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জাতীয় স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গকে দু’টি সোনা এনে দিয়েছে নবম শ্রেণির শালিনী নাথ। সেটা এই প্রশিক্ষণের ফলেই। সব থেকে বড় কথা, ছাত্রীরা আত্মবিশ্বাসী হচ্ছে।’’
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ছাত্রীদের বছরে ৯০ দিনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু যে ভাবে জনপ্রিয়তা বেড়েছে, সারা বছরই এই প্রশিক্ষণ চললে ভাল হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy