প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে প্রায় সাড়ে চার কোটি ফর্ম ছাপাতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সেই ফর্মের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত সেই তথ্যের নিরিখে ডেঙ্গি রিপোর্ট তৈরি ও মশা নিধনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। গ্রাম্য এলাকায় এই সমীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর। শহুরে এলাকায় দ্রুত ওই কাজ শুরু হবে।
স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, মশা নিধনের কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক ভাবে তৈরির জন্য বাড়িভিত্তিক সমীক্ষা জরুরি। সে কারণেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে পতঙ্গবাহিত রোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন। কলকাতা পুর এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্যের সব ক’টি জেলার ক্ষেত্রেই তা করা হচ্ছে। কলকাতার ক্ষেত্রে এই কাজ সংশ্লিষ্ট পুর প্রশাসন করে থাকে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘সমীক্ষার মাধ্যমে যে তথ্য উঠে আসে, তার উপরে ভিত্তি করেই পতঙ্গবাহিত রোগ রোধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি জেলার গ্রাম ও শহরের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কত ফর্ম ছাপাতে হবে, তারও নির্দিষ্ট হিসেব হয়েছে।’’ সব মিলিয়ে ফর্ম ছাপানোর জন্য প্রায় ২১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ফর্মের তথ্য ডিজিটাইজ়ড করা হবে বলেও দফতর সূত্রের খবর।
পতঙ্গ বিশারদদের একাংশের বক্তব্য, বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকার কোন জায়গা মশার আঁতুড়ঘর বা তেমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেটা সরেজমিন পরীক্ষাতেই উঠে আসে। এক পতঙ্গ বিশারদের কথায়, ‘‘গ্রাম আর শহরের বাড়ির আবার কাঠামোগত পার্থক্য রয়েছে। সেই অনুযায়ী রূপরেখা ঠিক করতে হবে। গ্রামের ক্ষেত্রে যেমন বাঁশের কোটর জাতীয় প্রাকৃতিক আঁতুড়ের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’’ নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পতঙ্গবাহিত রোগ নিধনকর্মসূচির প্রধান পরামর্শদাতা গৌতম চন্দ্র আবার জানাচ্ছেন, শহরে জন-চলাচল বেশি। ফলে ছুড়ে ফেলা ছোট পাত্র, যেমন চায়ের কাপ, প্লাস্টিকের পাত্র, বাতিল টায়ার-সহ এমন বিভিন্ন জিনিসে জল জমে মশার আঁতুড়ঘর তৈরির আশঙ্কা অনেক বেশি। শহরের ক্ষেত্রে সেগুলির দিকেনজর দেওয়া প্রয়োজন। গৌতমবাবুর কথায়, ‘‘তা ছাড়া শহরে উড়ালপুল-সহ উঁচু কাঠামোর কোনও জায়গায় জল জমে থাকলে সেখানেও এডিস ইজিপ্টাই বংশবৃদ্ধি করে। সে দিকেও নজর দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy